নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ চলতি মাসেই সামশেরগঞ্জে নির্বাচন। আর এই উপনির্বাচনের ঠিক আগেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে বিজেপি শিবিরে ভাঙন ধরলো। এবার বিদায়ী বিধায়ক আমিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে নিমতিতার মণ্ডল সভাপতি ও যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন।
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি শিবিরে ভাঙনের ছবি প্রকাশ্যে আসছিল। একাধিক দাপুটে নেতা পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু সামশেরগঞ্জে বিজেপির সংগঠন সংঘবদ্ধই ছিল। তবে এবার সেখানেও ভাঙন দেখা গেলো।
গতকাল সামশেরগঞ্জে তৃণমূলের তরফে একটি যোগদান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সামশেরগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক আমিরুল ইসলাম ছিলেন। সেখানেই নিমতিতার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি রঞ্জিত দাস এবং যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি সন্দীপ সিংহ সহ মোট ৩৬ জন তৃণমূলে যোগ দেন। আর দলের শক্তি বৃদ্ধিতে স্বাভাবিকভাবেই ঘাসফুল শিবির খুশী হয়েছে।
এদিকে সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিমরাজি হওয়ায় বামেদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ভোটের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। কংগ্রেস প্রার্থীর এই সিদ্ধান্ত জানার পরই প্রদেশ নেতৃত্ব স্থানীয় নেতৃত্বকে বাম প্রার্থীর হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেয়। এখন সামশেরগঞ্জের প্রার্থী সিদ্ধান্ত পুর্ণবিবেচনার কথা জানাতেই চিন্তায় বাম নেতৃত্ব।
অন্যদিকে সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী থাকলে অধীররঞ্জন চৌধুরী জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। জঙ্গিপুর মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি হাসানুজ্জামান বাপ্পা জানান, “যদি জইদুর রহমান কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়াতে রাজি না হন তাহলে ১৫ ই সেপ্টেম্বর থেকে কংগ্রেস প্রার্থী ছাড়াই হাত প্রতীকে ভোট চাইবেন”।