নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগে আপের সর্বময় নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পকে মডেল হিসেবে বেছে নিলেন। ১৮ বছর বয়সের উর্ধ্বে সব মহিলাকে মাসে এক হাজার টাকা করে অনুদান প্রকল্প ঘোষণা করলেন। দিল্লিতে এই প্রকল্পের নাম ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সম্মান যোজনা’ দেওয়া হয়েছে। আপ সরকার জানিয়েছে, ‘‘এই প্রকল্পের জন্য দিল্লি সরকারের মাসে দু’হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।’’
বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনাকে পাশে নিয়ে আজ অরবিন্দ কেজরীওয়াল জানান, ‘‘মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেই আপ সরকার এই প্রকল্প শুরু করতে চলেছে। আজ থেকেই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো শুরু হবে।’’ নির্বাচনের মুখে শুধু হাজার টাকা দেওয়াই নয়, নির্বাচনে জয়ী হলে সেই অঙ্ক যে দ্বিগুণেরও বেশী হবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন, ‘‘দিল্লিতে ফের আপের সরকার হলে নির্বাচনের পর থেকে প্রতি মাসে মহিলারা ২,১০০ টাকা করে পাবেন। গত মার্চ মাসে আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই এই প্রকল্প শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিজেপি আমায় জেলে ঢুকিয়ে তা আটকে দিয়েছিল।’’

- Sponsored -
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কর্ণাটকের পর মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনের ফলেও দেখা গিয়েছে, মহিলাদের মাসে নগদ দেওয়ার কৌশল যাদুকাঠির মতো কাজ করেছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর নির্বাচনে জয়ী হয়ে তা বাস্তবায়িতও করেছিলেন। এখন রাজ্যে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মডেলের অনুকরণ হচ্ছে। একসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ধরণের অনুদানকে ‘রেউড়ি পলিটিক্স’ (খয়রাতির রাজনীতি) বলে কটাক্ষ করতেন। তবে দেখা গিয়েছে যে, কংগ্রেস সহ খোদ গেরুয়া শিবিরও ভিন্ন নাম নিয়ে ওই মডেলের অনুসরণ করেছে।