চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এবিভিপি (অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ) ও আরএসএফের (রেভিলিউশন স্টুডেন্টস ফ্রন্ট) সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো। এই সংঘর্ষের জেরে এবিভিপি এবং আরএসএফের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।
এদিন মূলত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপি যুব মোর্চার অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। ওই সময় শুভেন্দু অধিকারীকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ উঠেছে আরএসএফের বিরুদ্ধে। এরপর তিনি চলে যেতেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিন্তু আরএসএফের অভিযোগ, ‘বিনা প্ররোচনায় হামলা চালানো হয়েছে।’
গত সোমবারও ক্যাম্পাসে র্যাগিং নিয়ে বৈঠকে গোলমাল ছড়াতেই এসএফআই (স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া) ও ডব্লিউটিআইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে এসএফআইয়ের এক জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবী করা হয়। আর গতকাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে এআইডিএসও এবং টিএমসিপির মধ্যে শোরগোল শুরু হয়েছিল।

- Sponsored -
অন্য দিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু কড়া নির্দেশিকা জারি করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া রাতেরববেলা ৮টা থেকে সকালবেলা ৭টার মধ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে না। পাশাপাশি হস্টেল সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বিভাগীয় প্রধান, নির্দেশক, বিভাগ, ইউনিট, শিক্ষক, কর্মী, আধিকারিক ও ছাত্র সংগঠনকে ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ওই নির্দেশিকা আপলোড করার কথাও বলা হয়েছে। আর এদিন থেকেই এই নির্দেশিকা বলবৎ করা হয়েছে।