নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুম্বইঃ রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানির ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। অর্থ পাচারের মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, PMLA বা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে চারটি অস্থায়ী আদেশ জারি করা হয়েছে। 

অনিল অম্বানির বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মুম্বাইয়ের অভিজাত পালি হিলে তাঁর নিজের বাড়ি। দিল্লির মহারাজা রঞ্জিত সিং মার্গের রিলায়েন্স সেন্টারের জমি ও একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে মুম্বাই ছাড়াও রিলায়েন্স গ্রুপের নয়ডা, পুনে, হায়দরাবাদ ও চেন্নাইয়ের সম্পত্তিও ইডি’র নজরে। এই আর্থিক তছরুপ ও অর্থ পাচারের মামলায় মূল অভিযোগের তীর রিলায়েন্স গ্রুপের দুই সংস্থা রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স লিমিটেড ও রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইনান্স লিমিটেডের দিকে। 

অভিযোগ, এই দুই সংস্থা থেকে সাধারণ মানুষের অর্থ তছরুপ ও পাচার করা হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯, এর মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক এই দুই সংস্থায় ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করে। আর সেই বিনিয়োগগুলোই ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নন-পারফর্মিং অ্যাসেট বা খেলাপি ঋণে পরিণত হয়। ইডি’র দাবি, আম্বানির একাধিক কোম্পানি, যার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছে, সম্মিলিতভাবে ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণের ‘ডাইভারশন’ করেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
রিলায়েন্সের এই ঋণ খেলাপি নিয়ে চলতি বছরের শুরুর দিক থেকেই তৎপর ছিল ইডি। অগস্ট মাসে অনিল অম্বানিকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর তার আগে জুলাই মাসের ২৪ তারিখে তাঁর সংস্থার কর্মকর্তা সহ প্রায় ২৫ জনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এ ছাড়াও মোট ৫০ সংস্থা ও ৩৫টি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় দেশের এই গোয়েন্দা সংস্থা। উল্লেখ্য, ইডির এই অর্থ পাচার ও আর্থিক তছরূপের মামলাটি সিবিআইয়ের একটি এফআইআরের ভিত্তিতে শুরু হয়। তবে, ইডির এই পদক্ষেপে যে বিরাট চাপে অনিল অম্বানি, সেই কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

				
								
															











