আগামী দু’সপ্তাহের জন্য তিহাড়ে পাঠানো হলো অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) হেফাজত শেষে আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে আদালতে হাজির করানো হয়। তবে ইডি আদালতে জেল হেফাজতের আর্জি জানিয়েছিল। আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৫ ই এপ্রিল অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত দু’দফায় ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। এদিন সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়।

এদিন তাঁকে আদালতে আনার সময় সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নে শুধু জানান, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যা করছেন, তা দেশের জন্য ভালো নয়।’’ এদিন আদালতে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের স্ত্রী সুনীতা সহ দিল্লির দুই মন্ত্রী অতিশী মারলেনা ও সৌরভ ভরদ্বাজ উপস্থিত ছিলেন। আদালতে ইডির তরফে জানানো হয়, অরবিন্দ কেজরীওয়াল তদন্তে সহযোগীতা করছেন না। অনেক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন। এমনকি মোবাইলের পাসওয়ার্ড দিতেও অস্বীকার করছেন। পাশাপাশি তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।


অন্য দিকে, অরবিন্দ কেজরীওয়াল যেন জেলে বই নিয়ে যেতে পারে, তা জানিয়ে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন। ওই বইগুলি হলো রামায়ণ, ভগবদ্‌গীতা, এবং সাংবাদিক নীরজা চৌধুরীর লেখা প্রধানমন্ত্রীদের সম্পর্কে একটি বই। প্রসঙ্গত, গত ২১ শে মার্চ তাঁকে আবগারী দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ন’বার সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতি বারই হাজিরা এড়িয়েছেন। গত ২১ শে মার্চ নবম বারের হাজিরার দিন ছিল।


সেদিন অরবিন্দ কেজরীওয়াল ইডি দপ্তরে না গিয়ে হাইকোর্টে গিয়ে রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর ওই দিন রাতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা তাঁর বাসভবনে পৌঁছে যান। সেখানে প্রায় দু’ঘণ্টা তল্লাশির পর অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। অরবিন্দ কেজরীওয়ালই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর গ্রেফতারীর পর দিল্লির শাসকদল আপের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গ্রেফতার হলেও অরবিন্দ কেজরীওয়াল পদত্যাগ করছেন না। হেফাজতে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলাবেন।


অরবিন্দ কেজরীওয়াল গ্রেফতারীর পর বলেছিলেন, ‘‘এটা একটা দুর্নীতি। এতে ইডির দু’টি উদ্দেশ্য। এক, আপকে ভেঙে দেওয়া। দুই, আড়ালে থেকে তোলাবাজির চক্র চালানো। আমি জেলে থাকি বা জেলের বাইরে, আমার হৃদয় সব সময়ই দেশের জন্য নিয়োজিত।’’ কিন্তু আদালতে ইডি বার বার দাবী করেছিল, ‘‘আবগারী মামলার মূলচক্রীদের মধ্যে অন্যতম।’’

DISCLAIMER: This channel does not promote any violent, Harmful or illegal activities. All content provided by this channel is meant for an educational purpose only.

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031