চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ ভুয়ো আইএএস, আইপিএস অফিসারের পর এবার ভুয়ো পুলিশের সন্ধান পাওয়া গেলো। পুলিশের পরিচয়ে খবরদারি চালানোর পাশাপাশি বিধাননগর থানার নামে দরপত্র হেঁকে ৪৮ লক্ষ টাকা জালিয়াতির অভিযোগ উঠল চার জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে সুমন ভৌমিক নামে একজন আবার সিভিক পুলিশ।
সম্প্রতি পেশায় ঠিকাদার রাজদেও সিংহ প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, “সম্প্রতি তার সাথে চার জনের পরিচয় হয়। যারা নিজেদের এসআই, অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারের মতো পদাধিকারী হিসেবে পরিচয় দেন। এরপর বিধাননগর থানার একটি দরপত্র পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৪৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু পরে জানা যায় ওই দরপত্রই ভুয়ো”।
পুলিশ অভিযুক্তের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমে জানতে পারে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে অভিযুক্তরা ওই ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করেছেন। আজ পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে সুমনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বিধাননগর থানায় এক সময় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তারপর এসআই পরিচয় দিয়ে বিধাননগর থানার নামে ভুয়ো দরপত্র হাঁকেন।
এরপরেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জালিয়াতি দমন শাখা অভিযোগের ভিত্তিতে সুমনের কাছ থেকে দু’টি ল্যাপটপ, দু’টি মোবাইল ফোন ও ব্যাংকের বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছে। কোথায়, কত টাকা লেনদেন হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া সুমনের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই বাকি অভিযুক্তদের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৪২০, ৪১৯, ৪৬৭, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি সোমবার রাতে পুলিশের জালে ধরা পড়ে ভুয়ো আইপিএস আধিকারিক বেলঘরিয়ার বাসিন্দা রাজর্ষি ভট্টাচার্য নিজেকে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের পরিচয় দিয়ে অনেকদিন ধরেই নীল বাতির গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়াতো। পার্কস্ট্রিট থানায় জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে লালবাজারের পুলিশ কর্তারা তদন্ত শুরু করে রাজর্ষিকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গুলি, পিস্তল, রাইফেল, এয়ারগান, দোনলা বন্দুক সহ ওয়াকি টকি ও আইপিএসের পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তার দুই সঙ্গী অভিজিত্ দাস এবং মহম্মদ সিকান্দারও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।