মিঠু রায়ঃ কলকাতাঃ করোনার নয়া রূপ ওমিক্রন প্রভাব বিস্তার করতেই দ্রুত গতিতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। তবে হাসপাতালে রোগী ভর্তির পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। মূলত ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে যারা উপসর্গহীন বা যাদের মৃদু উপসর্গ রয়েছে তাদের অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আইসোলেশনে থেকে নানা ধরণের ওষুধ খাচ্ছেন।
আর এই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা অত্যাধিক। বিশেষত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খেলে এর প্রভাব অনেকটাই ক্ষতিকারক হতে পারে।
চিকিৎসকদের এই প্রসঙ্গে বক্তব্য যে, ‘‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। আর করোনা হলো একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। অ্যান্টিবায়োটিক বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ দেখা গেলে তবেই দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে করোনা আবহে সামান্য জ্বর হলে আগে থেকে মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক খেতে শুরু করছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন অ্যান্টিবায়োটিক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তেমনই বিনা কারণে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার একাধিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরে ডায়ারিয়া ও পেটের গোলযোগের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে’’।
তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। আর এখন যে করোনা সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে এর জন্য সাধারণ প্যারাসিটামলই যথেষ্ট। তবে যদি খুব শরীর খারাপ হয় সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া উচিত।