মিনাক্ষী দাসঃ মুখের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য শুধু দাঁত ব্রাশ করলেই হবে না। অনেকে আবার নুন দেওয়া টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করেন। কিন্তু আসল সমস্যা যে অন্য জায়গায় তা প্রায় সকলেরই অজানা। চিকিৎসকদের কথায়, “মুখের স্বাস্থ্য অনেকটাই ব্রাশের উপর নির্ভর করে।”
অনেকেই একই ব্রাশ দিনের পর দিন ব্যবহার করেন। যা কখনোই ঠিক নয়। অনেকে ব্রাশের ব্রিসলস নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও সেই ব্রাশ ব্যবহার করতে থাকেন। এই ধরণের ব্রাশ একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়। অন্তত তিন মাস অন্তর ব্রাশ পাল্টাতে হবে। আবার সংক্রমণজনিত কোনো রোগ থেকে সেরে ওঠার পর ব্রাশ পরিবর্তন করে নেওয়া জরুরী কারণ, ওই রোগের ব্যাক্টেরিয়া লালাবাহিত হয়ে ব্রাশের খাঁজে খাঁজে দীর্ঘ দিন অবধি থেকে যেতে পারে। পরবর্তী কালে ওই ব্রাশ থেকেই আবার রোগ ছড়াতে পারে।
পাশাপাশি দাঁত তোলার পর বা মুখের ভিতরে কোনো রকম অস্ত্রোপচার করানোর পরেও দাঁত মাজার ব্রাশ পরিবর্তন করা প্রয়োজন। ইদানীং আবার দাঁত মাজার জন্য বৈদ্যুতিক ব্রাশ ব্যবহার করার চল হয়েছে। সেক্ষেত্রেও দু’-তিন মাস অন্তর ব্রাশের মাথা পরিবর্তন করে ফেলা উচিত। চিকিৎসকেরা বলছেন, “সাধারণ ব্রাশের তুলনায় এই ধরণের ব্রাশগুলির ব্রিসলস তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।” অতএব একটানা ব্রাশ ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।