নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আসামঃ মহালয়ার পরেই কলকাতায় দুর্গাপুজো শুরু হলেও বিভিন্ন রাজ্য সহ জেলায় তা ষষ্ঠী অবধি গড়িয়ে যায়। বেশীর ভাগ মণ্ডপে ষষ্ঠীর সকাল অবধি শেষ মুহূর্তের কাজ চলে। কিন্তু এই বছর আসামের গুয়াহাটিতে কলকাতার হাওয়া লেগেছে। শহরের আমেরিকান কলোনীর পুজো মহালয়ার দিন ও রেস্ট ক্যাম্প কালীবাড়ির পুজো প্রথমাতেই উদ্বোধন হয়ে গেছে।
গুয়াহাটির সবচেয়ে পুরোনো বারোয়ারীর পুজো উজানবাজার বারোয়ারী। আহোম রাজার শুরু করা পুজো ১৮৮৯ সালে বারোয়ারী হয়েছিল। অদূরে লতাশিলের মাঠের পুজো ৬৫ ফুট উঁচু শিবলিঙ্গ তৈরী হয়েছে। গুয়াহাটির সবচেয়ে ভিড় টানা দু’টি পুজো রেস্ট ক্যাম্প কালীবাড়ি এবং বিষ্ণুপুর সর্বজনীন যা বাজেটের নিরিখেও শীর্ষে।
রেস্টক্যাম্প কালীবাড়ি পুজো কমিটির সম্পাদক তাপস নাহা জানান, ‘‘চলতি বছরের থিম অ্যাকোয়ারিয়াম। সাদা মূর্তিতে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া আছে। মণ্ডপের ভিতরে মেঝে ও চার দিকের দেওয়াল জুড়ে অ্যাকোয়ারিয়াম রয়েছে। এই প্রথম এখানে নবরাত্রির আয়োজন হচ্ছে।” আর চলতি বছর বিষ্ণুপুর সর্বজনীন দুর্গা পুজোর থিম বৃন্দাবনের চন্দ্রোদয় মন্দির। ১১০ ফুট উঁচু মণ্ডপ তৈরী করা হচ্ছে।
এই মণ্ডপের ভিতরে আমেরিকার ইস্কন মন্দিরের প্রতিচ্ছবি থাকবে। পুজোর চার দিন মণ্ডপের পাশেই সকলের জন্য প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়া নয়নতারা ক্লাবের পুজোও অত্যন্ত নজরকাড়া। চলতি বছর বাঁশ দিয়ে পুরো মণ্ডপ তৈরী হয়েছে। প্রতিমাও ৫০ শতাংশ বাঁশের। পুজোয় মণ্ডপ এবং আলোকসজ্জা চন্দননগরের। ৭১তম বছরে নিউ কলোনীর আজাদ হিন্দ ক্লাবের প্রতিমা ২৩ ফুট উঁচু। এখানে মা দুর্গার মাথায় হিরের মুকুট রয়েছে।
তাছাড়া বিমলা নগরে মেক্সিকোর মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরী হয়েছে। আলোর খেলার মূল আকর্ষণ চন্দ্রযান। শিলপুখুরির পুজোর মণ্ডপও চন্দ্রযানের আদলে তৈরী হয়েছে। বেলতলা লক্ষ্মী মন্দিরও একই থিম করেছে। আটগাঁওয়ের পুজোর থিম জনজাতি পরম্পরা। পাশাপাশি মালিগাঁও কালীবাড়ির দুর্গাপ্রতিমার পুজো সকলকে মুগ্ধ করে। এই প্রতিমা তৈরীর জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে প্রতিমা শিল্পী এসেছেন। অন্যদিকে পাণ্ডু ফ্রেন্ডস ক্লাবের একচালা প্রতিমা মন কেড়ে নেয়।