নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ টানা বৃষ্টি ও ধসে উত্তরবঙ্গ কার্যত বিধ্বস্ত। রাস্তা ধসে গেছে। ঘর-বাড়ি ভেঙেছে। সেতুর অর্ধেক ধসে গিয়েছে। আপাতত সরকারী ত্রাণ দিয়েই সেখানকার মানুষদের দিনযাপন চলছে। এর মধ্যে নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা এলাকায় গাঠিয়া নদীর উপরে সেতু সংস্কারের কাজ চলাকালীন বালির বস্তার গার্ডওয়াল ধসে পড়তেই স্থানীয় মহিলারা কাজ আটকে দিলেন।
জানা গেছে, গাঠিয়া নদীর উপরে থাকা এই সেতু উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ওই সেতু ভেঙে পড়ায় টুন্ডু, বামনডাঙা এবং খেরকাটা বস্তির সাথে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া এই সেতুর উপর দিয়েই পূর্বের আরো রাজ্যের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়। তবে তাও বন্ধ হয়ে পড়ায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছিল। সিমেন্টের বস্তায় বালি মাটি ভরে প্রাথমিকভাবে সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়।
কিন্তু আচমকা বালির বস্তা ধসে পড়ে। তবে শ্রমিকরা কোনোমতে প্রাণে বেঁচে যান। এর জেরে এলাকাবাসীরা কাজ বন্ধ করে দেন। এলাকাবাসীদের তরফে অভিযোগ ওঠে, “যে বোল্ডারগুলি দিয়ে ব্রিজ তৈরী হচ্ছিল সেগুলি ছোটো আকৃতির।” যে সংস্থা কাজ করছিল তার ম্যানেজার শুভঙ্কর বোস জানান, “আমি বাঁধ তৈরীর নিয়ম জানি না। গ্রামবাসী বলল, ‘পাথরের আকৃতিটা ঠিক করে দিতে। ওরা বলছিল ছোটো আকৃতির পাথর এসেছে। বড় পাথর চাইছে।’ যা দেখার ইঞ্জিনিয়ার সাহেবরা দেখবে। আমরা ইমারজেন্সি কাজের জন্য এসেছিলাম।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি সীমা চৌধুরী বলেন, “বেশ কিছু পাথর খুবই খারাপ। আর গয়েরকাটা ব্রিজ শুধু সরকারের এলাকা নয়। এটা দিয়ে আসাম, নাগাল্যান্ডে যাওয়া যায়। তারাও তো যেতে পারবে না। তাই আমরা বন্যার পরই RO-র সাথে যোগাযোগ করি। যে বোল্ডার ফেলা হয়েছে তার আকৃতি সঠিক নয়। ময়নাগুড়ির ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কথা বলেছি যাতে এজেন্সির সাথে কথা বলেন।”