অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ বাঘাযতীনের পর আজ সকালে কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের একটি একটি বহুতল পাশের একটি বাড়ির উপর হেলে পড়তেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যেহেতু বাড়িটি নির্মীয়মাণ, তাই সেখানে কেউ বসবাস করতেন না। কিন্তু রাজমিস্ত্রীরা থাকতেন। তবে তারা অক্ষত আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এই বহুতলটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। অল্প দিনেই পাঁচতলার এই আবাসনটি প্রায় তৈরী হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নির্মাণকাজ চলাকালীনই তা হেলে পড়ে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ‘‘কলকাতা পুরসভার কোনো শর্ত মেনে আবাসনটি নির্মাণ হয়নি। পাশের বাড়িগুলির সঙ্গে যে ন্যূনতম দূরত্ব রেখে নির্মাণকাজ করতে হয় সেই বিষয়টিও মানা হয়নি।’’ এইভাবে শহরে আরো একটি বাড়ি হেলে পড়ায় কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কাজকর্ম নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন উঠছে। ওই এলাকার মাটি পরীক্ষা না করে আবাসনটি নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হল কিভাবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
উল্লেখ্য, কলকাতায় যে কোনো ধরণের বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষা করা আবশ্যক। সংশ্লিষ্ট এলাকার মাটি কতটা শক্ত বা কত তলা আবাসনের ভার বহন করতে পারবে, সেই বিষয়টিও দেখা বাধ্যতামূলক। কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়, ‘‘সোমবার আবাসন কর্তৃপক্ষ আবাসনটি হেলে যাওয়ার খবর পেতেই ইঞ্জিনিয়ারদের বাড়িটির বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছিল। গতকাল পুরসভার বিল্ডিং বিভাগে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। তবে যে রিপোর্ট এসেছে তাতেও উদ্বেগের কিছু ধরা পড়লেও পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা নজর রাখছেন।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত, বাঘাযতীনে কলকাতা পৌরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি হেলে পড়ার পরেই স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পরিষদ মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। আর এবার মেয়র পরিষদ সন্দীপন সাহাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। যদিও এদিন বড়োসড়ো বিপদ না হওয়ায় পুরসভা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। বলা বাহুল্য, গত বছর মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দর এলাকায় নির্মীয়মাণ বেআইনী বহুতল ভেঙে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here