নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ বর্ধমানের কাঁকসার আমলাজোড়ার আনন্দপুর গ্রামে বাঁধ সংস্কারকে কেন্দ্র করে দু’টি পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন দু’পক্ষের ৩০ জন। এছাড়া আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হারু বাগদিও আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনন্দপুর গ্রামে প্রায় ৬০ বিঘা একটি বাঁধ সংস্কারের জন্য প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এক ঠিকাদার এই কাজের জন্য বরাতও পেয়েছেন। কিন্তু বাঁধের কাজ শুরু করা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। গ্রামবাসীর একাংশের অভিযোগ, “আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আইনুল হক নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করাতে চাইছেন”।
আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হারু বাগদির অভিযোগ, “আগে আইনুল বাঁধ সংস্কারের কোনো হিসাব গ্রামবাসীকে দেননি। তাই নতুন কাজের বিষয়ে যাতে গ্রামবাসী যাতে সব জানতে পারায় একটি কমিটি গড়ার কথা বলি। তবে এদিন পাম্পের সাহায্যে পুকুরের জল বের করার খবর জানাজানি হতেই গ্রামবাসীর একাংশ ঘটনাস্থলে যেতেই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন গ্রামবাসীদের উপরে দলবল নিয়ে চড়াও হন”।
আইনুল পাল্টা দাবী জানিয়ে বলেন, “এদিন হারুই সরকারী কাজে বাধা দিচ্ছিলেন। এরপর আমাদের উপরে দলবল নিয়ে হামলা চালান। এতে আমাদের কয়েক জনকে আহত হয়েছেন”।
বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “চারিদিকেই বখরা নিয়ে তৃণমূল নিজেদের মধ্যে অশান্তি-মারামারি করছে। এই ঘটনা তারই প্রমাণ”।
অন্যদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, “দলে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে”।
কাঁকসা থানার পুলিশ এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় উপপ্রধানকে রাজবাঁধের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আর বাকি আহতদের পানাগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।