বেশী ভাড়া ও ফোন সুইচ অফ করে রাখার অভিযোগ উঠলো অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বিরুদ্ধে
রাজ খানঃ বর্ধমানঃ এবার করোনা রোগীর আত্মীয়দের কাছ থেকে বেশী ভাড়া চাওয়া ও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠছে। জামালপুর হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে।
দলীয় কার্যালয়ে থাকাকালীন এই ঘটনার অভিযোগ পেয়ে জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্যকে সাথে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। সেখানে অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং মালিকদের ডেকে পাঠিয়ে কড়া বার্তা দিয়ে জানান যে, “ইচ্ছা করে ফোন বন্ধ রাখলে ও বেশী ভাড়ার দাবী করলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। এছাড়া একাধিক বার অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং মালিকদের বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ আসে।
এমনকি নিজের ফোন নাম্বার দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে সরাসরি আবেদন করে বলেন, “ভাড়া বেশী চাইলে ও ফোন সুইচ অফ থাকলে আমাকে সরাসরি ফোন করুন। এর পাশাপাশি আপনারা বিডিও এবং বিএমওএইচকে বিষয়টি জানাতে পারেন।
এতদিন দাবাং পুলিশ অফিসার দেখা গেছে আবার পুলিশের গান্ধীগিরিও দেখা গেছে।
এবার একদিকে দাবাং এর ভূমিকা আবার অন্যদিকে গান্ধী গিরি করে অসহায় রোগীদের সাহায্যে নিজের মোবাইল নম্বার দিলেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান।
বিএমওএইচ এর উপস্থিতিতে মেহেমুদ খান বলেছেন, “কোনো গরীব মানুষ কম ভাড়া দিতে পারলে তাকে ফোন করলে তিনি বাকি ভাড়া দিয়ে দেবেন। এর পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, “কোনো অবস্থাতেই রোগী পরিষেবা ব্যহত করা যেমন যাবে না। তেমনি রোগীর আত্মীয়দের কাছে বেশী ভাড়া চাওয়া ও ফোন বন্ধ রাখলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
এমনকি রোগী পরিষেবার স্বার্থে নিজের এবং জামালপুরের বিডিওর মোবাইল নম্বরও দিয়ে দেওয়া হয়।
এর সাথে সাথে জামালপুরের বিডিও আরটিও এর সাথে কথা বলে জানিয়ে দিয়েছেন, “এরপর ব্লকের আধিকারিকদের ফোন নাম্বার সহ ভাড়ার চার্ট টাঙিয়ে দেওয়া হবে”।