অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তুমুল ধস্তাধস্তিতে ক্যাম্পাসের মধ্যে চরম উত্তেজনা তৈরী হয়। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাশাপাশি ব্রাত্য বসুর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগও ওঠে। তবে পরে তিনি এখান থেকে বেরিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে যান। মূলত, ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবীকে কেন্দ্র করে এই বিশৃঙ্খলতা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় এক জন উপাচার্য আহত হয়েছেন। আবার বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে এক জন ছাত্রও আহত হয়েছেন।
ছাত্র বিক্ষোভের মধ্যে আটকে থাকা অবস্থায় ব্রাত্য বসু জানান, “এটাই হচ্ছে এই সব (বাম-অতিবাম) ছাত্র সংগঠনের গণতন্ত্র। এরাই রাস্তায় নেমে অসভ্যতা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধৈর্যে বিশ্বাস করেন। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। আমরা সহিষ্ণুতার পাঠ জানি। আমি ওদের বললাম ‘আপনারা দু’জন আসুন।’ ওরা বলল, ‘চল্লিশ জনই যাব।’ আর এতজন মিলে কথা হয়। এরপরই ওরা বাধা দেয়। আমাদের প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে যাতে পুলিশ ডাকি। কিন্তু সেটা করব না।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
জানা গিয়েছে, যে সময় ব্রাত্য বসু গাড়ি নিয়ে বেরোচ্ছিলেন সেই সময় এক জন ছাত্র গাড়ির তলায় শুয়ে পড়ার চেষ্টা করে। পরে গাড়ির উপরে উঠে যায়। তারপর ওয়েবকুপার (তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন) কয়েক জন্য সদস্য তাকে সরানোর চেষ্টা করেন। তবে সে ফের ছুটে আসে। কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না ওই পড়ুয়া ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় নাকি ঠেলাঠেলিতে পড়ে গিয়েছিল। যদিও পরে আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে কেপিসিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া আরো দু’জন অসুস্থ হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এক জন ছাত্র এই প্রসঙ্গে বলে, “গাড়ি নিয়ে তৃণমূলের গুণ্ডারা আমাদের ছাত্রদের মেরে গেছে। ওর কিছু হলে হিসাব তুলব।” আবার অন্য এক জনের কথায়, “তৃণমূল প্রথম বর্ষের এক জন ছাত্রকে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে ইচ্ছা করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।” অপরদিকে টিএমসিপির এক জন সদস্য বলেছে, “ব্রাত্য বসু যখন স্পিচ দিচ্ছিলেন সেই সময় মাওবাদী-বামগুলো চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি করছিল। মন্ত্রীর গাড়ি অবধি ভাঙচুর করেছে। আর এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও নয়। আমরা একজনকে চিহ্নিত করেছি। যে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়া। ইচ্ছাকৃত অশান্তি তৈরীর চেষ্টা চলেছে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here