অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আর জি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত নিলেন। নির্দেশে জানানো হয়, ‘আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি সন্দীপ ঘোষ অন্য কোনো মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিতে পারবেন না।’
পাশাপাশি, হাইকোর্ট জুনিয়র মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভূমিকার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের প্রশ্ন, ঘটনা ঘটার পরে কেন হাসপাতালের সুপার এবং অধ্যক্ষ পুলিশে অভিযোগ করলেন না? অন্য দিকে, মঙ্গলবারই সন্দীপ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫ দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। কার্যত তা নাকচ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
মঙ্গলবার শুনানির প্রথম পর্বে সন্দীপকে আরজি কর থেকে সরিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালে বদলির ঘটনাকে ‘পুরস্কার’ বলেও মন্তব্য করেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, ‘‘সরানোর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পুরস্কৃত করা হল অধ্যক্ষকে!’’ এর পরে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশে বলেন, ‘‘পুরস্কৃত অধ্যক্ষকে ছুটিতে যেতে বলুন। তা না হলে আমরা নির্দেশ দেব।’’ আদালতের ওই নির্দেশের কিছু ক্ষণের মধ্যেই জানা যায় সন্দীপ ছুটি চেয়েছেন। তবে আদালতের ‘নির্দেশ’-এর জন্য নয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, হাই কোর্টের কোনও লিখিত নির্দেশ তাঁদের কাছে আসেনি। সন্দীপ ওই ছুটি মঙ্গলবার সকালেই চেয়েছিলেন। এর পর সেই ছুটির আবেদন কার্যত বাতিল করে দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, সন্দীপ অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকাকালীনই আরজি করে মেডিক্যাল কলেজে এক জুনিয়র মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার পরেই সন্দীপের অপসারণের দাবিতে সরব হন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই দাবির চাপে সন্দীপকে আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরলেও সোমবারই তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়,
Sponsored Ads
Display Your Ads Here