নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ পশ্চিম দিল্লির মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি তিনতলা বাড়িতে বহু অফিস ভাড়া দেওয়া হয়। গতকাল ওই অফিস বাড়ির দো’তলার সিসিটিভি রাউটার নির্মাতা ও ক্যামেরার একটি সংস্থার অফিসে ভয়াবহ আগুন লেগে গোটা বহুতলে ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন ছড়িয়ে পড়তেই যারা ভিতরে ছিলেন তাদের মধ্যে কিছু লোক বেরিয়ে আসেন। কেউ কেউ দড়ি ধরে দেওয়াল বেয়ে নেমে পড়েছিলেন। আবার কেউ আগুন থেকে বাঁচতে লাফ দিয়েছিলেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানলার কাচ ভেঙে উদ্ধার শুরু করে। এছাড়া দমকলের ৩০ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
সিসিটিভি নির্মাতা সংস্থাটির পঞ্চাশেরও বেশী কর্মীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি প্রায় ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়। আর আগুনে পোড়ার ক্ষত নিয়ে অন্তত ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই আগুনে মারা যান ২৭ জন। কিন্তু মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানান, ‘‘আমি দিল্লির অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখিত। শোকাহত পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’’ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও টুইটারে শোক প্রকাশ করেন।
নরেন্দ্র মোদী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় পুলিশ সংস্থার মালিক বরুণ গোয়েল এবং হরিশ গোয়েলের কাছে দমকল বিভাগের কোনো ছাড়পত্র অর্থাৎ ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) না থাকায় বরুণবাবু ও হরিশবাবুকে আটক করেছেন। এমনকি বাড়ির মালিক মণীশ লাকড়ার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।