নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থানা এলাকায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী প্রতিবেশীর কাছে ধর্ষিত হয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি কিশোরীর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

জানা যাচ্ছে, গত বছর ৯ ই সেপ্টেম্বর কিশোরীর জেঠু কেশিয়াড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করে জানায়, ‘‘মাঝেমধ্যে ভাইঝি ওই এলাকার এক চানাচুর ব্যবসায়ীর কারখানায় কাজ করতে যেত। ব্যবসায়ীর বাড়ি তাদের বাড়ির কাছেই ছিল। ব্যবসায়ীকে জেঠু বলে ডাকত। মাঝেমাঝে বিকেলবেলা তার বাইকে চেপেই কারখানায় যেত। গত আগস্ট মাসের শেষে কিশোরী ব্যবসায়ীকে কারখানায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর জানাজানি না করার জন্য প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রথমে লজ্জা ও ভয়ে কাউকে কিছু বললেও পরে সাহস করে গত ৯ ই সেপ্টেম্বর পরিবারকে সব কথা বলে।

তারপর পরিবারের সদস্যরা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কেশিয়াড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।’’ পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে পরের দিনই অভিযুক্তকে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। প্রথমে অভিযুক্তের পুলিশ হেফাজত এবং পরে জেল হেফাজত হয়। কিন্তু গত ২৪ শে অক্টোবর কিশোরী সকলের অলক্ষ্যে বাড়িতে রাখা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরেই কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অবশেষে প্রায় আঠারো দিনের যুদ্ধ শেষে গতকাল হাসপাতালেই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। আর ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। যদিও কিশোরীর জেঠুর দাবী, ‘‘ওই ঘটনার পর থেকেই সে বড্ড চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। ওর মন ভালো করার জন্য আমাদের বাড়িতেই রেখেছিলাম। আসতে আসতে স্বাভাবিকও হচ্ছিল। কিন্তু গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় আমাদের সকলের অজান্তে কীটনাশক পান করে। মঙ্গলবার সকালে সব শেষ! বাঁচাতে পারলাম না।’’










