অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আলিপুর চিড়িয়াখানায় দুই বাঘিনীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত কারণেই দুই বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছে। একজন ১৫ বছর বয়সী পায়েল। যার পায়ে ডোরাকাটা ও অন্য জন ১৭ বছর বয়সী রূপা। যে সাদা বাঘিনী। প্রধানত, একটি বাঘ সাধারণত তেরো বছর থেকে চোদ্দ বছর অবধি বাঁচে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, “এরা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশীদিন বেঁচেছে। চিড়িয়াখানার কর্মীদের যত্নেই তা সম্ভব হয়েছে।”
চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, ২০০৫ সালে পায়েলকে ওড়িশা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। আর রূপার জন্ম এখানেই হয়েছিল। কিন্তু সোম এবং মঙ্গলবার, মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বাঘিনী মৃত্যু হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে তিনজন চিকিৎসকের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এদের পশু হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে গোটা পোস্টমর্টেম প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি হবে। আর রিপোর্ট জমা পড়বে।
পরপর দুই বাঘিনীর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই চিড়িয়াখানার কর্মীদের মন খারাপ। বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এই প্রসঙ্গে জানান, “আমাকে CWLW যে রিপোর্টটা দিয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, দু’জনেরই বয়স হয়েছিল। বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে। আমার কাছে যে রিপোর্টটা এসেছিল, তাতে মৃত্যু স্বাভাবিক। ওদের যত্নের কোনো খামতি ছিল না। আমাদের দপ্তরের প্রত্যেক কর্মীই পশু-পাখিদের পরিবারের সদস্য হিসাবেই মনে করেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা যারা কাজ করছেন, তাদের পশু-পাখিদের নিজেদের সন্তানের মতোই দেখভাল করেন।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here