ব্যুরো নিউজঃ বাংলাদেশঃ আজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি স্কুলের উপর বাংলাদেশ বায়ুসেনার এফ-৭ বিমান ভেঙে পড়তেই তাতে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়। আর অন্তত ১৬৪ জন দগ্ধ হয়। তবে আহতের সংখ্যাটা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। দগ্ধদের বেশীর ভাগই শিক্ষার্থী। হাসপাতালের তরফে আহতদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা স্কুলের বাইরে জড়ো হয়েছেন। আবার অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড়েছিল। কিন্তু আচমকা ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপর ভেঙে পড়তেই স্কুলে আগুন ধরে যায়। স্কুলের শিক্ষক সবুজ মিয়াঁ এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, ‘‘যখন বিমানটি ভবনে ভেঙে পড়ে, তখন স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল। তবে বেশ কিছু পডুয়া স্কুলের ভিতরেই ছিল।’’
এই দুর্ঘটনার পর দ্রুত দমকল বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। দমকল বিভাগের আধিকারিক লিমা খান এই বিষয় বলেন, ‘‘স্কুলের ক্যান্টিনের ছাদে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। আর সেখানে দমকলের তিনটি ইউনিট কাজ করছে।’’ পুলিশও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। আইনশৃঙ্খলা যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেজন্য বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের চার জনকে হেলিকপ্টারে করে সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর বাকিদের অ্যাম্বুলেন্সে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘এই ঘটনায় ঢাকার ওই স্কুল, তার শিক্ষক ও পড়ুয়াদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়।’’ এছাড়া আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেছেন। পাশাপাশি বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন। আর আগামীকাল বাংলাদেশে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
বাংলাদেশের বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘বিমানটি প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হত। কিন্তু বিমানটি ভাঙল কিভাবে? বিমানের পাইলট বেরিয়ে আসতে পেরেছেন কিনা, তা নিয়ে বিশদ কিছু জানায়নি।’’ যদিও গোটা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে ভারতের গুজরাটের আমেদাবাদের মেঘানিনগরে চিকিৎসকদের হস্টেলে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান ভেঙে পড়েছিল। সেই দুর্ঘটনায় ২৬০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here