নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঝাড়গ্রামঃ গতকাল ঝাড়গ্রামের বাঁশতলাতে মধ্যরাতে জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় তিনটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। মৃত হাতির মধ্যে একটি পূর্ণ বয়স্ক ও বাকি দু’টি শাবক হাতি। এদিকে, হাতিগুলির মৃতদেহ রেললাইনে পড়ে থাকায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।
জানা গেছে, বন দপ্তর এবং হুলা পার্টির সদস্যরা হাতিগুলিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি বয়স্ক হাতি ও দু’টি শাবক হাতি বাঁশতলা স্টেশনের পরেই রেললাইনের উপরে উঠে যায়। তখন ঝাড়গ্রাম থেকে খড়গপুরগামী জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় তিনটি হাতি ছিটকে পড়ে। বন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং রেল আধিকারিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেহগুলি উদ্ধার শুরু করেন।
জেলার বন বিভাগের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার উমর ইমাম জানান, “হাতিগুলি রেললাইনের কাছাকাছি রয়েছে বলে রেলকে রাতেরবেলা ১১টার সময় জানানো হয়েছিল। ট্রেনের গতি কম রাখার কথা বলা হয়েছিল। এরপরও ট্রেনের গতি এত বেশী ছিল। ওই সময় কোন কোন ট্রেন ওই লাইন দিয়ে গিয়েছিল, তা দেখতে হবে। ঘটনার তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এলাকাবাসীরা হাতির মৃত্যু নিয়ে সরব হয়ে অভিযোগ তোলেন যে, “সঠিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হুলা পার্টির সদস্য নিয়োগ না করার ফলে একের পর এক হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এছাড়া জেলায় বন দপ্তরের তেমন ভূমিকা দেখা যায় না।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কিন্তু বন দপ্তর হাতি মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। এদিকে, এদিন জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সে জলঢাকা নদীর চরে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা মৃতদেহটি দেখতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তারপর বনদপ্তরে খবর দেওয়া হলে বনদপ্তরের কর্মীরা পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, বজ্রপাতে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে হাতিটির প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।