নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ওড়িশাঃ বৃহস্পতিবার রাতেরবেলা থেকে শুক্রবার সকালবেলার মধ্যেই ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার মাঝে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আছড়ে পড়তে চলেছে। বৃহস্পতিবার সকালবেলাই ‘দানা’ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। ফলে যাতে কোনোরকম অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে তাই এসএসআই (আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া) সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং কোণার্ক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর শুক্রবার অবধি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এরপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সোমবারই রাজ্য প্রশাসন ঘোষণা করে মঙ্গলবারের মধ্যে পর্যটকদের পুরী ছাড়তে হবে। আর ওই ঘোষণার পর পরই পর্যটকদের মধ্যে পুরী ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যাতে মন্দির, জাদুঘরগুলির কোনো ক্ষতি না হয়, তার জন্যও এসএআই আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পুরীর মন্দির সহ কোণার্কের সূর্যমন্দির বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় যত উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে, ততই হাওয়ার গতিবেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৌসম ভবনের খবর অনুযায়ী, পুরী, আঙুল, কটক, খুরদা, গঞ্জাম, ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া, জাজপুর, বালেশ্বর, ঢেঙ্কানল, কেওনঝড়, ময়ূরভঞ্জ, নারায়ণগড় ও জগৎসিংহপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই কারণে এই জেলাগুলিতে সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমনকি কেন্দ্রাপাড়ার ভিতরকণিতা জাতীয় উদ্যান এবং ময়ূরভঞ্জের সিমলিপাল ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পূজারী এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘পাঁচ হাজার ত্রাণশিবির বানানো হয়েছে। ঝড় মোকাবিলার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কুড়িটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনা, নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।’’