‘বুধবারের মধ্যেই খালি করতে হবে দিঘার হোটেল,’ নির্দেশ প্রশাসনের

Share

চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ প্রভাব বিস্তার করার আগেই দিঘার সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দিঘার সৈকত দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন হোটেলমালিকদের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করে জানায়, ‘‘বুধবারের মধ্যে পর্যটকদের হোটেল খালি করে দিতে হবে। আর দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর, শঙ্করপুর ও মন্দারমণির হোটেলগুলির জন্য একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে দিঘার সমস্ত হোটেল খালি করে দিতে হবে। পর্যটকেরা হোটেল ছেড়েছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে অভিযান চালানো হবে।’’ মঙ্গলবারই বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরী হয়েছে। বুধবার তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ওড়িশা এবং বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঝড়ের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার থাকবে। ইতিমধ্যে মঙ্গলবার জোয়ারের সময়েই দিঘার ভয়ঙ্কর রূপ দেখা গিয়েছে। আর সেই রূপ দেখার জন্য পর্যটকদের ভিড় সমুদ্র সৈকতে উপচে পড়েছিল।


আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ‘দানা’র প্রভাবে বুধবার থেকেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলা অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর চব্বিশ পরগণা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায়ায় বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। ওই সময় সমুদ্রও উত্তাল থাকবে। সেই বার্তা মাথায় রেখে দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের প্রায় ৭৫ কিমি দীর্ঘ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার সুরক্ষা জোরদার করার জন্য মঙ্গলবার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা এলাকা পরিদর্শনে যান।


পরে জেলাশাসক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কতা মেনে বুধবার বেলা ১২টার মধ্যেই সমস্ত হোটেল থেকে পর্যটকদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সময়সীমা পার হওয়ার পর পর্যটকেরা যাতে কোনও হোটেলেই না-থাকতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফে অভিযান চালানো হবে। দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ছুটির মরসুম বলে মঙ্গলবারও দিঘায় ভালই ভিড় জমিয়েছিলেন পর্যটকেরা। অনেকে আবার ঝড়ের সময় জলোচ্ছ্বাস দেখার জন্য আগামী দু’দিন থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এমন অনেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হোটেল বুকিং করেন।


মঙ্গলবার সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর হোটেলবন্দি হয়েছিলেন অনেকে। এখন হোটেল থেকে সব পর্যটককেই বাড়িমুখী হতে হবে। জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের গতিমুখ ওড়িশার অভিমুখে হলেও তার অভিঘাত দিঘায় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য। জেলাশাসক বলেন, ‘‘আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সমুদ্র উপকূল এলাকায় বুধবার থেকেই আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করবে। তার আগেই পর্যটকদের দ্রুত দিঘা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি হোটেলগুলিতেও নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031