নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ ১২৫০ কোটি খরচ করে নতুন সংসদ ভবন তৈরী করা হয়েছে। অথচ বছর পেরোতে না পেরোতেই ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল। নীচে বালতি রেখে কোনো মতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। সংসদ ভবনের লবি থেকে মেঝে সর্বত্রই জল জমে গিয়েছে।
সম্প্রতি তামিলনাড়ুর কংগ্রেস সাংসদ মণিকম ঠাকুর নেটমাধ্যমে সংসদ ভবনে এই জল পড়ার দৃশ্য পোস্ট করে লেখেন, ‘‘সংসদের যে লবি রাষ্ট্রপতি ব্যবহার করেন, সেখানে এমন জল চুঁইয়ে পড়ার দৃশ্য নয়া সংসদ ভবনের হাল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। পাশাপাশি এও বলেন, ‘‘বাইরে পেপার লিকেজ, ভিতরে ওয়াটার লিকেজ!।’’ মণিকম ঠাকুরের দাবী, ‘‘যদি নয়া সংসদ ভবনের এই হাল হয়, তাহলে অবিলম্বে সব দলের সাংসদকে নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরী করা উচিত। যারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।’’
তদন্তে যা উঠে আসবে, সেগুলি প্রকাশ্যে আনারও প্রস্তাব দিয়েছেন। নয়া সংসদের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র নিজের এক্স হ্যান্ডলে জানান, ‘‘এই নতুন সংসদ ভবন নরেন্দ্র মোদীর অহংকার ছিল! সেই অহংকারের আসন যে ২০২৪ লোকসভা ভোটের পর টলে গেছে, এবার সেটাই আস্তে আস্তে স্পষ্ট হচ্ছে।’’
কনৌজের সাংসদ তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব ব্যঙ্গের সুরে বলেন, ‘‘এর চেয়ে পুরোনো সংসদই ভালো ছিল। কারণ, কোটি কোটি টাকা খরচ করে নতুন সংসদ ভবনে তো জল চুঁইয়ে পড়ছে। তাই বর্ষাকালীন অধিবেশনের বাকিটা পুরনো সংসদ ভবনেই স্থানান্তর করা হোক! আর জনসাধারণ এবার জানতে চাইছে বিজেপি সরকারের আমলে তৈরী সব কিছুতেই জল চুঁইয়ে পড়া বিজেপির সুচিন্তিত নকশার অংশ কি না!’’ প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে সদ্যনির্মিত রামমন্দিরের ছাদ থেকেও জল চুঁইয়ে পড়ার দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছিল। উল্লেখ্য যে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। ইতিমধ্যে সাত জনের মৃত্যুও হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল সংসদ ভবনের বাইরেও হাঁটুজল জমে যায়।