এবার কেদারনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধস নেমে মৃত ৩ জন ও আটকে শতাধিক পুণ্যার্থী

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরাখণ্ডঃ কেরলের ওয়েনাড়, হিমাচল প্রদেশের পর এবার দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ, চামোলি ও টিহরীতে একের পর এক ধস নেমেছে। গত কয়েক দিন ধরেই উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি চলছে। গতকাল সেই বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়ে। এরপর আচমকাই মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে কেদারনাথে ধস নামে। ফলে কেদারনাথ যাওয়ার বেশ কিছু রাস্তায় ধস নামার কারণে প্রায় ২০০ জন পুণ্যার্থী আটকে পড়েছেন। আর ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, আর এই সময়ে চারধাম যাত্রা চলছে। ফলে দুর্যোগ শুরু হওয়ায় প্রশাসনের তরফে পুণ্যার্থীদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইতিমধ্যেই যারা কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন, তাদের আপাতত এই যাত্রা স্থগিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গতকাল কেদারনাথ যাওয়ার পথে ভীম বলীতে বড়ো ধস নামে। ওই সময় অনেক পুণ্যার্থী ওই রাস্তা ধরে কেদারনাথের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। তবে তারা বড়ো বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।


নিরাপত্তার কারণে কেদারনাথ যাওয়ার ওই রাস্তা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশের তরফে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করে ধসপ্রবণ এলাকাগুলি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধস নামায় টিহরীতে একটি পরিবারের বেশ কয়েক জন সদস্য নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। অন্য দিকে, কেদারনাথের পাশাপাশি হরিদ্বারে ধসের জেরে বাড়ি ভেঙে পড়ে একই পরিবারের ছ’জন আহত হয়েছেন। এমনকি বহু গাড়ি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে।


চামোলিতে এক জন মহিলা সহ শিশু নিখোঁজ হওয়ায় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তাদের খোঁজ চালাচ্ছে। ভারী বৃষ্টির জেরে গঙ্গা এবং মন্দাকিনীর জলস্তর বেড়েছে। এর জেরে কোনো কোনো বসতি এলাকাতে গঙ্গার জল ঢুকে পড়েছে। এদিকে আলমোড়াতে একটি সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। আর গতকালই উদ্ধারকারী দলগুলির সাথে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। অন্যদিকে, বৃষ্টি ও ধসের জেরে পিথোরাগড়-তাওয়াঘাট জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ধসের কারণে টিহরী, চম্পাবত, বাদেশ্বর এবং রুদ্রপ্রয়াগ জেলার বহু রাস্তা বন্ধ।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031