মিনাক্ষী দাসঃ প্রচণ্ড গরম ও তীব্র দাবদাহে একদিকে যখন শরীর জ্বালাপোড়া করে তখনই আবার ঘামাচি অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। বাড়ির ছোটো থেকে বড়ো সকলকেই একই সমস্যায় ভুগতে হয়। আর এই ঘামাচির জেরে চুলকানির সমস্যা লেগেই থাকে। ঘামাচি একবার দেখা দিলে সহজে যায় না। ত্বক অনুসারে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। র্যাশ, প্রদাহ সব মিলিয়ে ত্বকের ক্ষতির সাথে সাথে শারীরিক কষ্টও বাড়ে।
কিন্তু বাজার চলতি কিছু সাবান বা পাউডারের প্রস্তুতকারী সংস্থারা এই সমস্যা দূর করতে পারে বলে দাবী করলেও তাতে নানা রাসায়নিক মেশানো থাকে। আর সেগুলি ব্যবহার করলেও খুব বেশী উপকার পাওয়া যায় এমনটাও নয়। এছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে তো অনেক সময় এই সব সাবান বা পাউডার খারাপ প্রভাবও ফেলে। ফলে ঘামাচির বাড়বাড়ন্ত হলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তবে সাধারণত এই ঘামাচির সমস্যায় কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ও আরাম দিতে পারে। তাই নিম্নে এর বিস্তারিত কয়েকটি টোটকা দেওয়া হলো-
১) একটা শুকনো কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে প্রায় দশ মিনিট ধরে ঘামাচির উপর লাগাতে হবে। দিনে অন্তত চার বার এই ভাবে করতে হবে।
২) দুই টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও এক টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়োর সাথে পরিমাণ মতো গোলাপজল মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগালে আরাম লাগবে।
৩) ঘামাচির উপর শুধু অ্যালোভেরার রস বা হলুদের সাথে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে লাগাতে হবে। আর কমপক্ষে পনেরো মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে উপশম হবে।
৪) এক কাপ ঠান্ডা জলে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তাতে পরিষ্কার কাপড় ডুবিয়ে ঘামাচির উপর কমপক্ষে পনেরো মিনিট অবধি রাখতে হবে। পরে আলতো হাতে মুছে নিলে ভালো ফলাফল হবে।
৫) চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সাথে পরিমাণ মতো গোলাপ জল মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যাবে।