ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, সেই সাথে ঢেউ বাড়ছে দিঘায়

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সংলগ্ন উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আছড়ে পড়তে চলেছে। এর প্রভাবে দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি হবে। ইতিমধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে (এনডিআরএফ) পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে এনডিআরএফের বারোটি দল নিযুক্ত করা হয়েছে। তারা ঝড় এবং পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।

এনডিআরএফের যে বারোটি দলকে দক্ষিণবঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে, তারা গোসাবা, কাকদ্বীপ, আরামবাগ, বসিরহাট, সাগরদ্বীপ, হাসনাবাদ, কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা, দিঘার কাঁথি, দাঁতন, রামনগর ও নারায়ণগড়ে থাকবে। দিঘায় দু’টি দল থাকবে বলে জানা গিয়েছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে এই মুহূর্তে গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে। তা ক্রমে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। আজ সন্ধ্যাবেলা ওই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে তৈরী হবে। এরপর তা শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।


রবিবার মধ্যরাতেরবেলা সেই ঝড় উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে গভীর নিম্নচাপ পশ্চিমবঙ্গের ক্যানিং থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বে, সাগরদ্বীপ থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বে ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করেছে। গত ছ’ঘণ্টায় নিম্নচাপ সতেরো কিলোমিটার বেগে স্থলভাগের দিকে এগিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী অংশে আছড়ে পড়তে চলেছে।


সেই সময় উপকূলে হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। আবার কোথাও কোথাও ১৩৫ কিলোমিটার অবধি ঝড়ের বেগ উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর উত্তর চব্বিশ পরগণা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। এখানে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। ফলে চাষের জমির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031