অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ যখন এসএসসি দুর্নীতিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হয়ে উঠেছে। তখনই প্রাথমিক নিয়োগে সুখবর। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ অনুযায়ী, ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৮৬৭ শূন্যপদে দুই মাসের মধ্যে চাকরী দিতে হবে। অর্থাৎ ২৪/৪/২০২৪ অবধি হাইকোর্টে মামলাকারী প্রত্যেককে চাকরী দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীদের নথি যাচাইয়ের পর তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। আর ওই তালিকা থেকেই চাকরী দিতে হবে।
পনেরো বছর পর ৮৬৭ জন চাকরী পেতে চলেছেন। বাম আমলে শুরু হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবশেষে একাধিক আইনী জটিলতা কাটিয়ে ওঠার পর এবার চাকরী পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরী বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল যে, তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে।
এদিন আবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ‘‘তিনটি হলফনামা দিয়ে আদালতে জানানো হয়েছিল যে, প্রায় ৫ হাজার ৩০০ জনের মতো অযোগ্য ওই তালিকায় ছিলেন।’’ তবে বাকিরা যে যোগ্য, তাও জোর দিয়ে বলেননি। সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘আপাতত যে তথ্য আছে হাতে সেই মোতাবেক ওরা যোগ্য। তবে আগামীতে যে তথ্য উঠে আসবে সেই মোতাবেক বলব। এর বাইরে আমাদের পক্ষে বাকি প্রায় ১৯ হাজারকে এভাবে সার্টিফায়েড করা সম্ভব নয়।’’