ব্যুরো নিউজঃ গাজাঃ ইজরায়েলি সেনার সাথে হামাসপন্থীদের যুদ্ধে গাজার সাধারণ মানুষের শোচনীয় অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে উত্তর গাজার মানুষেরা তীব্র খাদ্যসঙ্কটে ভুগছেন। রীতিমতো দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। খাবারের ঘাটতি এতটাই যে, কয়েক দিনের মধ্যেই এখানকার বাসিন্দাদের অনাহারে থাকতে হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু ইজরায়েল সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় এক মাস হয়ে গেল উত্তর গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছাচ্ছে না।
এই খাদ্যসঙ্কটের জেরে বাচ্চারা সবচেয়ে বেশী প্রভাবিত হচ্ছে। দিনে দিনে খাবারের জন্য হাহাকার বাড়ছে। এমনকি পানীয় জলের সঙ্কটও বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মধ্যেও এই নিয়ে উদ্বেগের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, ‘’২৩ শে জানুয়ারী শেষ বার সেখানে সাহায্য পাঠানো গিয়েছে। বর্তমানে তারা সাহায্য নিয়ে প্রস্তুত। অনুমতি পেলেই গাজায় পৌঁছে যাবে।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জের সহ কার্যকরী ডিরেক্টর কার্ল শাউ আশঙ্কা করেছেন, ‘‘যদি দ্রুত পরিস্থিতির পরিবর্তন না হয় তবে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের কৃষি বিভাগের সহ প্রধান মাউরিজিও মার্টিনা সর্তক করে বলেন, ‘‘গাজার প্রায় ৯৭ শতাংশ ভূগর্ভস্থ জল পানের অযোগ্য। তাই কৃষি উৎপাদনও হ্রাস পাচ্ছে।’’ পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ‘‘তারা চাইলেও উত্তর গাজার মানুষদের মুখে খাবার পৌঁছে দিতে পারছে না। ইজরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজায় তীব্র খাদ্যসঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।’’ দুর্বিসহ জীবন থেকে বাঁচতে বাসিন্দারা উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণে পালিয়ে আসছেন। কিন্তু এখানেও সাহায্য না পৌঁছলে খাবারের সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।