পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ রাজ্য সরকারের চতুর্থ শ্রেণীর পদে চাকরী দেওয়ার নামে নয় লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে রবিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ডায়মন্ড হারবার রেলপুলিশের হাতে গ্রেফতার নদীয়ার রানাঘাটের এক জন তৃণমূল নেতা শৌভিক ঘোষ ওরফে গুড্ডু। গতকাল তাকে ডায়মন্ড হারবার আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক পাঁচ দিন পুলিশী হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বাসিন্দা পার্থ মাইতি নামে এক জন অভিযোগকারী অভিযোগ করেন যে, ‘‘২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে পার্থর সঙ্গে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার হোটর রেলস্টেশনে শৌভিক সহ কুনাল দে, স্নেহাংশু দাস, সুখেন দাস ও সুমন দেবনাথদের আলাপ হলে। তারা নিজেদের রাজ্য সরকারের পদস্থ আধিকারিক বলে পরিচয় দেয়। এরপর বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিভিন্ন দপ্তরের পরিচয়পত্রও দেখায়। আর অভিযোগকারী ওই ফাঁদে পা দিয়েই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরী পাওয়ার জন্য কয়েক দফায় মোট নয় লক্ষ টাকা দেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereতারপর বার বার চাওয়ার পরে একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এরপর সেটি নিয়ে কাজে যোগ দিতে গিয়ে পার্থ জানতে পারেন, সেটি ভুয়ো। তারপরই গত ১৯ শে ফেব্রুয়ারী রেলপুলিশের কাছে কুনাল, শৌভিক, স্নেহাংশু, সুখেন এবং সুমনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যার ভিত্তিতে সরকারী নথি নকল করা ও প্রতারণার মতো একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, কুনালের বাড়ি কলকাতার সার্কাস অ্যাভিনিউতে। আর শৌভিক, স্নেহাংশু, সুখেন এবং সুমন চার জন নদীয়ার বাসিন্দা।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereআর শৌভিক রানাঘাট এক নম্বর ব্লকের রামনগর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৩ নম্বর জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূলের টিকিটের দাঁড়িয়ে বিজেপির কাছে হেরে যায়। একসময় ওই পঞ্চায়েতে দলের সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল। রবিবার রাতেরবেলা একটি অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আঁইশতলার তেইশ বিঘা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereলোকসভা নির্বাচনের মুখে চাকরী দেওয়ার নামে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘তৃণমূল দলটা দুর্নীতি ও কাটমানিতে ছেয়ে গিয়েছে। মন্ত্রীরা একে একে জেলে যাচ্ছেন। সুতরাং নীচুতলার নেতা-কর্মীরাও যে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।’’ এদিকে তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, ‘‘অভিযুক্ত মানেই অপরাধী নয়। পুলিশ তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলবে। আমাদের দল অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না।’’