অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ উত্তর চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালি নিয়ে আজ বিধানসভা উত্তাল হতেই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ ছ’জন বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, শঙ্কর ঘোষ, মিহির গোস্বামী, তাপসী মণ্ডল ও অগ্নিমিত্রা পালকে সাসপেন্ড করলেন। এতে চলতি বছর বঙ্কিম ঘোষ, শঙ্কর ঘোষ, মিহির গোস্বামী, তাপসী মণ্ডল, অগ্নিমিত্রা পাল এবং শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য বাজেট অধিবেশনে এক দিনও উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
পরে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব সংশোধন করে বঙ্কিম ঘোষ, শঙ্কর ঘোষ, মিহির গোস্বামী, তাপসী মণ্ডল, অগ্নিমিত্রা পাল ও শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। আর বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সাসপেন্ড করেন। এরপরই বিজেপি বিধায়কেরা সরব হন। শুভেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসেন না। আজ অবধি বিজেপি বিধায়কদের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি। বিধানসভায় সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্নের জবাবও দেননি। প্রশ্ন তুলে আমরা সাসপেন্ড হয়েছি।
সন্দেশখালির মা-বোনেদের সম্মান বাঁচাতে যদি এভাবে সাসপেন্ড করা হয়, তাহলে ভয় করব না, লড়াই করে যাব।’’ অন্যদিকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার বিরোধী দলের বিধায়কদের রাজনৈতিক শ্লোগান লেখা টিশার্ট খুলে ফেলতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কেউ রাজি হননি। বরঞ্চ শ্লোগান দিতে থাকেন। কাগজ ছিঁড়ে ওড়াচ্ছিলেন। স্পিকার বার বার বিরোধী দলনেতাকে বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে অনুরোধ করতে থাকেন। তারপর আমি বিজেপির ছ’জন বিধায়কের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করি।’’