অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মেডিকেল রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, হৃদ্যন্ত্রে পেসমেকার বসেছে। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিও হয়েছে। মাঝে মাঝে হৃদ্স্পন্দনে ছন্দপতন ঘটলেও ওষুধের মাধ্যমে এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে।
হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ৬২ বছরের সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। রক্তচাপ (১০৬/৭০) ও নাড়ির স্পন্দনে (৮৮/মিনিট) কোনো অস্বাভিকতা নেই। অর্থাৎ তাঁর অন্য কোনো গুরুতর শারীরিক সমস্যার কথাও উল্লেখিত হয়নি। তবে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আট রকমের ট্যাবলেট খেতে হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
যেমন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে বেদনানাশক অ্যাসপিরিন, গ্যাসের সমস্যার জন্য প্যান্টোপ্রাজোল, লিপিডের হার নিয়ন্ত্রণে অ্যাট্রোভ্যাস্টাটিন, রক্তের ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য ক্লোপিডোজেল, হৃদ্যন্ত্রের গতি ঠিক রাখার জন্য মেটোপ্রোলোল সাক্সিনেট আর সুগার এবং অন্য কিছু সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভোগলিবোস, লিনাগ্লিপ্টিন ও ডাপাগ্লিফোজিনের মতো ওষুধ দেওয়া হত।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত, গতকাল রাতেরবেলা প্রায় পাঁচ মাস পরে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) আধিকারিকেরা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে একই বাক্য বার বার করে বলানো হয়। কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের সময় সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও উপস্থিত ছিলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পর রাতেরবেলা ৩টে ২০ নাগাদ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ফের ইএসআই হাসপাতাল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।