চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড়দিন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে জানান, ‘‘আগামী ১ লা জানুয়ারী থেকে বর্ধিত হারে মহার্ঘ ভাতা পাওয়া যাবে। চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।’’
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহার্ঘভাতা ঘোষণার সময় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে মহার্ঘভাতা বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে তা নয়। রাজ্যে মহার্ঘভাতা ঐচ্ছিক। মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির ফলে রাজ্যের চোদ্দ লক্ষ সরকারী কর্মী উপকৃত হবেন। তবে রাজ্যের সরকার কর্মচারীদের চার শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারের দুই হাজার চারশো কোটি টাকা খরচ হবে।’’
মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করায় কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের সাথে রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘভাতার ফারাক কমে ৩৬ শতাংশ হয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীরা ৪৬ শতাংশ মহার্ঘভাতা পান। তবে রাজ্য সরকারের এই ঘোষণায় আন্দোলনরত রাজ্যের সরকারের কর্মচারীরা খুশী হতে পারেননি।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘মহার্ঘভাতার ক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য ব্যবধান ৪০ শতাশ। চার শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা করা হয়েছে। এটা একপ্রকার ভিক্ষা। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলি, এককের ঘরের শূন্যটা কোথায় গেল? শূন্যটাকে বাম দিকে না বসিয়ে চার এর ডান দিকে বসান। আমরা কিন্তু ভিক্ষা চাইছি না।’’
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানালেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১ লা জানুয়ারী থেকে চার শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করলেও আমাদের কর্মসূচী বহাল থাকবে। আমরা ভিক্ষা চাইনি।’’
সিপিএমের রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতা বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘৪০ শতাংশ মহার্ঘভাতা বাকি ছিল। আমাদের আন্দোলনের চাপে পড়ে চার শতাংশ দিতে বাধ্য হলেন। এখনো ৩৬ শতাংশ মহার্ঘভাতা বাকি। এই ঘোষণায় আমাদের আর্থিক বঞ্চনা মিটবে না। আমরা পূর্ণ মহার্ঘভাতার দাবীতে লড়াই চালিয়ে যাব।’’
অন্যদিকে তৃণমূল রাজ্য সরকারী কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। উনি সরকারী কর্মচারীদের মুখে হাসি ফোটালেন। এতো আর্থিক বঞ্চনার পরেও চার শতাংশ হারে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।’’