মিনাক্ষী দাসঃ আগামীকাল ভাইফোঁটা। ভাইফোঁটা মানেই জমিয়ে ভুরিভোজ। আর ভুরিভোজে যদি থাকে নতুন স্বাদের ছোঁয়া, তাহলে তো আর কথাই নেই। তাই এবার আজকের মেনুতে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কোলাপুরী চিকেনের রেসিপি। যা ভাতের পাশাপাশি রুটি, পরোটা বা লুচির সাথে খেলে একেবারে জমে যাবে।
উপকরণঃ ১ কেজি মুরগীর মাংস, ১ কাপ টক দই, ৪ টে পেঁয়াজ, ১টি তেজ পাতা, ৫টি শুকনো লঙ্কা, ১ টেবিল চামচ আদা বাটা, ২ টেবিল চামচ রসুন বাটা, ২ টেবিল চামচ টম্যাটো বাটা, আধ কাপ ধনে পাতা কুচি, আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চা চামচ গোটা গোলমরিচ, ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, ১ চা চামচ শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ জিরে, ১ টেবিল চামচ তিল, ১ টেবিল চামচ পোস্ত, ১ টেবিল চামচ গোটা ধনে, ৪ টেবিল চামচ নারকেল কোরা, ৩টি এলাচ, ২টি দারচিনি, ১টি বড় এলাচ, ১টি স্টার অ্যানেস, স্বাদ মতো নুন-চিনি ও প্রয়োজন মতো বাদাম তেল।
প্রণালীঃ মাংস ভাল করে ধুয়ে জল ঝরানো নুন, টক দই, আদা বাটা, রসুন বাটা, লঙ্কার গুঁড়ো এবং গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। এবার শুকনো খোলায় তিল, পোস্ত, গোটা জিরে, ধনে, এলাচ, দারচিনি, বড়ো এলাচ, গোলমরিচ, স্টার অ্যানেস, শুকনো লঙ্কা ও নারকেল কোরা ভালো করে ভেজে নিয়ে সামান্য জল দিয়ে মিক্সিতে ভাল করে বেটে নিতে হবে।
এবার ননস্টিক পাত্রে সামান্য তেল গরম করে তেজ পাতা এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে তা ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ও সামান্য নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করে মাখিয়ে রাখা মাংস দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে নিতে হবে। এরপর বেটে রাখা মশলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে চাপা দিয়ে মাংস সেদ্ধ হতে দিতে হবে।
তবে দরকারে সামান্য জল দেওয়া যেতে পারে। তারপর স্বাদ অনুযায়ী নুন এবং চিনি দিয়ে কষাতে থাকুন। আর মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করে ফেলুন। যদি কেউ ধনে পাতা পছন্দ না করে থাকেন তাহলে ধনে পাতা না দিলেও চলবে।