চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে প্রাক্তন উপাচার্যেরা অর্থাৎ উপাচার্যদের সংগঠন ‘দ্য এডুকেশনিস্ট’স ফোরাম’ রাজভবনের উত্তর গেটের কাছে ধর্নায় বসে রাজ্যপালের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন। সংগঠনের দাবী, ‘‘রাজ্যপাল সংবিধান মেনে চলুন। আইন মেনে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হোক।’’
গতকাল ওই সংগঠন একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, সিভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালনা প্রক্রিয়া নিয়ে সরাসরি মিথ্যা কথা বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের সাথে সিভি আনন্দ বোসের সংঘাত চরমে উঠেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত, গতকাল রাজভবন থেকে সিভি আনন্দ বোসের একটি পাঁচ মিনিটের ভিডিয়োবার্তা প্রচার করা হয়েছিল যেখানে বলেছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য উপাচার্য চাই। বাংলার শিক্ষা মন্ত্রক উপাচার্য নিয়োগ করেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাদের নির্দেশের সমালোচনা করে সেই সিদ্ধান্তকে বেআইনী আখ্যা দেয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে বলে, ‘আপনারা ভুল পদক্ষেপ করেছেন। আপনাদের এই সিদ্ধান্ত বেআইনী ও পুঁজিবাদী মানসিকতার পরিচায়ক।’ সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশের পরই সমস্ত উপাচার্যকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে আমি এক জন আচার্য হিসাবে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করি। যা নিয়ে সমস্যার শুরু।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ওই নিয়োগকে শিক্ষা মন্ত্রক ভুল বললেও হাইকোর্ট ঠিক জানিয়ে দেয়। এছাড়া আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমি সরকার মনোনীত উপাচার্যকে নিয়োগ করিনি কেন? এর কারণ, ওই উপাচার্যদের কেউ দুর্নীতিগ্রস্ত, কেউ ছাত্রীকে হেনস্থা করেছেন, কেউ বা রাজনৈতিক খেলা খেলছেন। তা হলে বলুন, এমন উপাচার্য নিয়োগ করা কি উচিত হত?
পাঁচ জন উপাচার্য পদত্যাগের পর আমাকে নিজে থেকে বলেছিলেন, ‘তাদের জীবনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রকের মদতে সরকারী অফিসার এবং মুখ্যমন্ত্রীর আইএএস কর্তারা চাপ সৃষ্টি করছেন।’ আমি ওই উপাচার্যদের পদত্যাগ করতে বলিনি। তারাই ভয় পেয়ে পদত্যাগ করেছিলেন।’’ এই বার্তা প্রকাশ্যে আসার পরই উপাচার্যদের ফোরাম প্রতিবাদ জানাতে থাকে।