অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ গতকাল রাতেরবেলা উত্তর কলকাতার পাথুরিয়াঘাটায় একটি পুরোনো বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে এক জন মহিলার। আর আহত হয়েছেন এক জন নাবালক সহ আরো দু’জন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় ১০০ বছর পুরোনো একটি পাঁচ তলা বাড়ির তিন তলার একটি অংশ বিকট শব্দে ভেঙে পড়তেই বাড়ির বাসিন্দারা ভয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। প্রতিবেশীরাও আওয়াজ শুনে ছুটে চলে আসেন। এরপর দমকল বিভাগে খবর দেওয়া হয়। এদিকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই ধ্বংসস্তূপে এক জন দম্পতি ও এক জন নাবালক আটকে পড়েন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। এরপর রাতেরবেলা ৩ টে নাগাদ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দম্পতি সহ নাবালককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মহিলার মৃত্যু হয়। আর বাকি দু’জনের কলকাতা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা চলছে। তবে ওই মহিলার স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এদিকে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো জায়গাটি ঘিরে রাখেন। পুলিশ জানিয়েছে, “কলকাতা পুরসভার তরফে বাড়িটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। আর বাড়ির দেওয়ালে সতর্কতামূলক বোর্ডও টাঙানো হয়েছিল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও বাড়িটিতে অন্তত চল্লিশ জন বাসিন্দা বসবাস করছিলেন।” এই দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসীরা বাড়িটির মালিকপক্ষ এবং পুরসভার উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ওই বাড়ির এক জন বাসিন্দা জানান, “এক সপ্তাহ আগেও বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়েছিল। গত কুড়ি বছর থেকে বাড়িটিতে কোনো মেরামত হয়নি। বার বার বলেও কোনো কাজ হয়নি। মালিকপক্ষের বাড়িটি সারানোর মতো ক্ষমতা নেই। ফলে মালিক বা পুরসভা কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।” শহর কলকাতায় বার বার পুরোনো বাড়ি ভেঙে এহেন দুর্ঘটনার জেরে পুরসভার পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।