নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টের তরফে রাহুল গান্ধীর শাস্তি স্থগিত করা হয়েছিল। আর এর দু’দিন পরেই আজ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তাঁকে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিলেন। এদিন স্পিকারের সচিবালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে তাই আপাতত সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।’’
ফলে আগামীকাল বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সংসদে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন, রাহুল গান্ধী ওই কর্মসূচীতে যোগ দিতে পারবেন। এছাড়া লোকসভা নির্বাচনে ভোটে দাঁড়ানোর পথও প্রশস্ত হয়। আর এই নির্দেশের খবর পেয়ে সংসদে বিরোধীদের আলোচনা কক্ষে একে অপরকে মিষ্টিমুখ করাতে দেখা যায়।
কংগ্রেস কর্মীরা দিল্লির ১০ জনপথে সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনের সামনে ঢোল-নাকাড়া নিয়ে উৎসবের মেজাজে নেমে পড়ে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী লোকসভা ভোটে কর্ণাটকে প্রচারে গিয়ে মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্যের জন্য গত ২৩ শে মার্চ সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।
এতে সাংসদ পদও খারিজ হয়ে যায়। কারণ, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(১) ধারা অনুযায়ী, সাংসদ বা বিধায়ক কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দু’বছর বা তার বেশী কারাদণ্ড হলে তাঁর সাংসদ অথবা বিধায়ক পদ চলে যায়। কিন্তু সুপ্রিমকোর্টের স্থগিতাদেশের পরই কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লোকসভায় আর্জি পেশ করেছিল।
কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল জানান, ‘‘আমরা আশা করব স্পিকার যেমন দ্রুততার সাথে রাহুলজীর পদ খারিজ করেছিলেন, তেমনই সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সক্রিয়তা দেখা যাবে।” কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও বলেন, ‘‘রাহুলজীকে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিতেই হবে।’’