নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় খুন হয়েছেন ৫৬ বছর বয়সী পুলক সরকার। শিলিগুড়িতে ঠিকাদারের অধীনে শ্রমিকের কাজ করতেন। সিপিএমের দাবী, মৃত পুলক সিপিএমের সদস্য ছিলেন। কিন্তু তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করে নিজের দলের কর্মী বলে দাবী করে।
তিনি কেতুগ্রাম দুই নম্বর ব্লকের উত্তর দাসপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের দাবী, ‘‘ভোটের দিন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা উত্তর দাসপাড়ার বুথ ক্যাম্পে চড়াও হলে পুলকবাবু গুরুতর আহত হন। এরপর উদ্ধার করে প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়।

- Sponsored -
তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে গতকাল বিকেলবেলা মৃত্যু হয়।’’ সিপিএমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘মৃত পুলক আসলে আমাদের দলের সমর্থক। সিপিএম ছাপ্পা দিতে গেলে তৃণমূল বাধা দেয়। তাতে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। তাতে সে গুরুতর আহত হয়েছে।’’
অন্য দিকে পুলকবাবুর পরিবারের তরফে দাবী করা হয়েছে যে, ‘‘পুলক কোনো দল করতেন না। প্রায় দশ বছর আগে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই দিন দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্তের পাশাপাশি তিন জনকে গ্রেফতার করেছেন।