রাজ্যের একমাত্র মহিলা সদস্যের বাড়ি জ্বালিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মণিপুরঃ ১২ সদস্যবিশিষ্ট মণিপুর মন্ত্রীসভার একমাত্র মহিলা সদস্য রাজ্যের কাংপোকপি কেন্দ্রের বিধায়ক নেমচা কিগপেন। গতকাল দুষ্কৃতীরা ওই নেমচা কিগপেনের বাড়ি জ্বালিয়ে দিলেন। তবে সে সময় তিনি নিজের বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। মন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ও সেনাবাহিনী এলাকা জুড়ে তল্লাশি শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল ওই জেলায় জাতিগত হিংসায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। মণিপুরের উপত্যকা অঞ্চলে বাস করা মেইতেই জনগোষ্ঠী জনজাতি তকমার দাবী জানানোর পরেই জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত কুকিরা মেইতেইদের বিরুদ্ধে সরব হয়।


কুকিদের অভিযোগ, “রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।” পাল্টা মেইতেইরা দাবী জানায়, “কুকিদের জন্য তাদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।” গত ৩ রা মে থেকেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে কুকি এবং মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ ও সংঘর্ষ চলছে। শান্তি ফেরাতে রাজ্য এবং কেন্দ্রের তরফে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও এখনো সমস্যার সমাধান হয়নি।


মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলার পর থেকেই মেইতেইরা আইগেজাং, খামেনলক ও চুল্লোউফাই গ্রামে আক্রমণ চালায়। এমনকি সব বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। গুলি চালানো হয়। পাল্টা কুকিরাও গুলি চালায়। মণিপুর প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের দশ জন কুকি বিধায়কদের মধ্যে এক জন স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন।


তাই নেমচা কিগপেনের বাড়িতে হামলার পিছনে মেইতেইদের হাত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার পরে অনেকেই মনে করছেন যে, মণিপুরের জাতিগত হিংসায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নেতা-মন্ত্রীরাও সুরক্ষিত নন।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930