নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ওড়িশাঃ গতকাল দুপুরবেলা ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়া ২৩ কামরার আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস প্রায় চার ঘণ্টা পরে ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গভীর রাতে ট্রেনের দরজা ভেঙে গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালানো হয়। এছাড়া সেনাবাহিনীকেও উদ্ধারকাজে নামানো হয়।
আজ সকাল অবধি এই ট্রেন দুর্ঘটনায় রেল সূত্রে মৃতের সংখ্যা ৮৮ জন ও আহতের সংখ্যা ৬০০ জন। কিন্তু পিটিআই জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ২৩৩ জন এবং আহতের সংখ্যা ৯০০ জন দাঁড়িয়েছে। তবে নিহত ও আহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সহ রেলের পদস্থ অফিসারেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। আর এদিন আবহাওয়া অনুকূল থাকলে হেলিকপ্টারে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেস একটি পিছনে তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারতেই ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ফলে ২৩টি কামরার মধ্যে ১৫টি কামরা লাইন থেকে ছিটকে পাশের ডাউন লাইন ও নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে। তখন সেই লাইন দিয়ে ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস আসছিল। এর জেরে হাওড়াগামী ওই ট্রেনটিরও দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। তবে গোটা বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তাছাড়া গতকালের পাশাপাশি এদিনও বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here