মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে কমছে কৃষিজমি

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ হুগলীর চণ্ডীতলার দু’টি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বরাবরই কৃষিজমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার অভিযোগ উঠছে। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েও কাজ না হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনে ভরসা হারিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। শাসক দলের একাংশ এই কাজে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘‘চণ্ডীতলা এক ও দুই নম্বর ব্লকের আঁইয়া, কৃষ্ণরামপুর, ভগবতীপুর, কুমিররমোড়া এবং পাশের জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরা সহ দিলাকাশ পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দিনভর মাটির ডাম্পার ও ট্রাক্টর ডানকুনি, তারকেশ্বর, এবং আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে চলে।


মাটিবোঝাই করে ওই সব গাড়িকে অহল্যাবাই রোডের পাশে ছোট পিচরাস্তায় সার দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। আর সন্ধ্যাবেলা হলেই অহল্যাবাই রোড ধরে গাড়িগুলি গন্তব্যে যেতে থাকে। ফলে ভারী গাড়ির চাপে গ্রামের রাস্তাঘাট ভেঙে তছনছ হচ্ছে। এছাড়া দুর্ঘটনাও ঘটছে। অন্যদিকে কৃষিজমির মাটি কাটায় কৃষিজমির পরিমাণও দিন দিন কমছে।


এলাকার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক ভক্তরামের কথায়, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো কাজ হয় না। কৃষিজমি প্রতিদিন কমছে। কৃষি আর লাভজনক নয়। ফসল ফলিয়ে চাষি দাম না পাওয়ায় মাটি কারবারিদের রমরমা বাড়ছে। শাসক দল, পুলিশ প্রশাসন সবার সাথেই ওদের ব্যবস্থা আছে। কৃষি লাভজনক হলে হয়তো মাটির এই বেআইনী ব্যবসা এতটা না বেড়ে প্রতিরোধ হত।’’


জেলার উপ-ভূমি আধিকারিক ভাস্কর মজুমদারের জানান, ‘‘এখন জেলা জুড়ে রাজ্য সরকার ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে বড়ো বড়ো কাজ চলায় মাটির ব্যবহার হচ্ছে। সরাসরি জেলা থেকে বিধি অনুযায়ী মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়। বিনা অনুমতিতে কেউ মাটি কাটতে পারবে না। আর গাড়ির সাথে চালান থাকতে হবে। এর অন্যথা হলে পুলিশ দেখে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

আর যখন অভিযোগ যখন উঠছে তখন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’’ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিষয়টি কানে এসেছে। এখন প্রশাসন কঠোর। বেআইনী ভাবে গাড়িতে মাটি বহন করা হচ্ছে দেখলেই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা আছে।’’ পুলিশের দাবী, ‘‘মাটির গাড়ির উপরে নজর রাখা হয়। নিয়ম বহির্ভূত কিছু দেখলে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।’’

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031