নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ পঞ্চায়েত ভোট সামনে। আর এরই মধ্যে হুগলীর খানাকুলের কিশোরপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বন্দিপুরে নদী-সেচ প্রকল্প (আরএলআই) পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে এক গোষ্ঠীর নেতা হারাধন প্রামাণিকের বাড়ি ভাঙচুর ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠলো অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ সাত বছর থেকে তৃণমূল কর্মী রাজকুমার দিগের বন্দিপুরের সরকারী নদী-সেচ প্রকল্পটি সাত বছর ধরে পরিচালনা করছিলেন। রাজকুমার ইলিয়াসের গোষ্ঠীর বলে পরিচিত। সেচের জমির শতকপিছু দুই টাকা করে তার মজুরী ছিল। এখানে সেচের আওতায় থাকা মোট ৮০ বিঘা জমিই তিন থেকে চার ফসলি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পঞ্চায়েত জানায়, রাজকুমার পাইপের ফুটো সারানো সহ নানা ক্ষেত্রে খরচ দেখিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ধার হয়েছে বলে হিসাব দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার রাজকুমারকে পঞ্চায়েত থেকে দায়িত্ব ছাড়তে বলা হয়। হারাধন আরেক জনকে প্রধানের প্রতিনিধি হিসেবে নদী-সেচ প্রকল্পের দায়িত্ব দেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরপরই হারাধনের বাড়িতে বোমাবাজি এবং বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু রাজকুমার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবী করেন, ‘‘আমার হামলার সঙ্গে যোগ নেই। আমরা ব্লক সভাপতির অনুগামী হওয়ায় প্রধানের নেতৃত্বে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। সেচ প্রকল্পে ঋণ কিছু হয়েছে ঠিকই তবে সেটা মৌখিক ভাবে জল কমিটিকে জানানো হয়েছে। এখনো সাধারণ সভা হয়নি। সেই সভায় হিসাব পেশ না করা অবধি এ রকম অভিযোগ উঠবে কেন?”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পাশাপাশি ইলিয়াস দাবী জানিয়ে বলেছেন, ‘‘দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। নিজেদের মধ্যে গোলমালে দলকে জড়ানো হচ্ছে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপ বরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা এড়িয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে ছ’জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছেন।