চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ ২০১৪ সালের টেট উর্ত্তীর্ণ টেট চাকরীপ্রার্থীদের আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনের সামনে করা আন্দোলন তিন দিনে পদার্পণ করেছে। শয়ে শয়ে চাকরীপ্রার্থী খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন। চাকরীপ্রার্থীদের দাবী, ‘‘রোদে-জলে নির্জলা অনশন করে শেষ দেখতে চান।’’
বিরোধী শিবিরের নেতারা আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল চাকরীপ্রার্থীদের হয়ে বিনা পারিশ্রমিকে আইনী লড়াইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। সন্ধ্যাবেলা যাদবপুর টিচার্স অ্যাসোসিয়শনের সদস্যেরা আন্দোলনকারীদের সাথে দেখা করেন। পুলিশ চাকরীপ্রার্থীদের একাংশকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও নড়েননি।
কয়েক জন চাকরীপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কয়েক জনের শারীরিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, মৃত্যু অবধি হতে পারে। এর মধ্যে আন্দোলনকারীদের কয়েক জন জানান, ‘‘গতকাল থেকে আমরা থেকে জল অবধি স্পর্শ করিনি। আমাদের নির্জলা অনশন চলছে। এরপর যদি মৃত্যুমিছিল শুরু হয় তাহলে এই কলকাতা শহর-সহ সমগ্র দেশ মৃত্যুর কার্নিভাল দেখবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এতগুলো হবু শিক্ষকের এই আন্দোলন ইতিহাস হয়ে থাকবে।
পর্ষদ নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে আদালতে গিয়েছে। আমরা পর্ষদের অফিস থেকে অনেকটাই দূরে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসে আছি। তারপরেও পর্ষদ আদালতে গিয়েছে। আমরা বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখছি। আমাদের বঞ্চনার কথা তারা ভেবে দেখবে বলেই আশা।’’
এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি গৌতম পালের বলেন, ‘‘অন্যায্য আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করা হবে না। আন্দোলনকারীদের দাবী আইনানুগ নয়। এই আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে।’’
অন্যদিকে, বিজেপি আন্দোলনকারীদের ব্যবহারের জন্য অস্থায়ী শৌচালয়ের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু পুলিশ সেই শৌচালয় বসাতে দেয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘বিধাননগর পুরনিগমের অনুমতি ছাড়া ওই শৌচালয় বসানো যাবে না।’’