নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ ২০১২ সালের ১৬ ই ডিসেম্বরকে আবার মনে করিয়ে দিল দিল্লি। একটানা দু’দিন ধরে এক মহিলাকে গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে বস্তায় মুড়ে, হাত-পা বেঁধে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। আশ্রম রোডের কাছ থেকে রক্তাক্ত বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করা হয়।
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, গত ১৬ ই অক্টোবর দিল্লির নন্দনাগরির বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী ওই মহিলাকে চার জন দুষ্কৃতী গাজিয়াবাদের রাস্তা থেকে অপহরণ করেন। এরপর গত দু’দিন ধরে ওই চার জন ও আরো অনেকে মিলে ধর্ষণ করে। আজ তার সন্ধান পাওয়ার পর দিল্লির জিটিবি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
তবে ওই মহিলার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। দিল্লি মহিলা কমিশনের প্যানেল এই প্রসঙ্গে জানায়, ‘গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপারকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে জবাবও তলব করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি এই ঘটনায় দায়ের হওয়া এফআইআরের একটি প্রতিলিপিও চেয়ে পাঠানো হয়েছে।’ পুলিশ সুপারকে দেওয়া নোটিশে এই ঘটনাটির বিশদ বিবরণ দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘কমিশন জানতে পেরেছে, ওই রাতেরবেলা ওই মহিলা ভাইয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গাজিয়াবাদের রাস্তায় অটোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
সেই সময় তাকে চার জন ব্যক্তি একটি এসইউভি গাড়িতে অপহরণ করে একটি অজানা এলাকায় নিয়ে গিয়ে দু’দিন ধরে পাশবিক ভাবে শারীরিক অত্যাচার চালানোর পর গোপনাঙ্গে একটি লোহার রড ঢুকিয়ে হাত-পা বেঁধে একটি চটের বস্তায় মুড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়।’ এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠল সমগ্র দেশবাসী।