নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ ভুল নম্বরে ফোন করায় এক জন যুবককে নদীয়ার নবদ্বীপের চর স্বরূপগঞ্জ এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আর ওই অপমানে যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠলো। মৃত ২৪ বছর বয়সী অমিত দেবনাথ। বাড়ি সুকান্তপল্লী এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত বন্ধুকে ফোন করতে গিয়ে ভুলবশত ওই এলাকারই এক জন মহিলাকে ফোন করেন। এর জেরে ওই এলাকার তৃণমূল নেতা সঞ্জীব সমাদ্দার ওরফে কালু ওকে ফোন করে স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। অমিত সেখানে পৌঁছানো মাত্রই বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর পরদিন আবারও দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরপর অমিত সেখান থেকে বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এদিকে পুলিশকে এই ঘটনা জানানোর পরেও পুলিশ প্রায় তিন ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে আসে বলে অভিযোগ ওঠে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অন্যদিকে অভিযুক্ত সঞ্জীববাবুর বাড়িতে ক্ষিপ্ত জনতা ভাঙচুর চালায়। এলাকাবাসীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, দীর্ঘদিন থেকে সঞ্জীববাবু দলবল নিয়ে এলাকায় দুষ্কৃতীরাজ চালাচ্ছেন। কিন্তু সঞ্জীববাবু নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ‘‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই ঘটনায় নবদ্বীপের বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা বলেন, ‘‘এই ধরনের কোনো অভিযোগ শুনিনি। তবে দল হিসাবে তৃণমূল এই ধরণের ঘটনার সাথে যুক্ত নয়। এটা দায়িত্ব নিয়ে বলছি।’’
জেলার উত্তরের বিজেপি সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেছেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে তৃণমূল সংগঠিত ভাবে বেলাগাম সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এটা নমুনা মাত্র। তৃণমূল আইনকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করার স্পর্ধা দেখাচ্ছে। এর জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা দায়ী।
যদিও পুলিশ মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় পরিবার সহ এলাকাবাসীরা নবদ্বীপ কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছেন।