নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। এই বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালের নবান্ন অভিযান নিয়ে এবার সরব হয়ে জানান, ‘‘আমি আন্দোলনে বাধা দেওয়ার পক্ষে নই। কিন্তু আন্দোলনের নামে ব্যাগে করে বোমা আনা হয়েছে, বন্দুক আনা হয়েছে।
অন্য রাজ্য থেকে লোক এনে হাওড়া স্টেশনে রেলের নিরাপদ আশ্রয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। বিজেপি গুন্ডামি করার জন্য নবান্ন অভিযান করেছে। অনেক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ওরা মেরেছে কিভাবে? দেবজিৎ আহত হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। অপারেশন করাতে হবে। তবে এরপরেও পুলিশ গুলি চালায়নি।’’
এছাড়া বলেন, ‘‘পুলিশ চাইলেই গুলি চালাতে পারত। কিন্তু আমি তা মনে করি না। তা কাম্যও নয়। পুলিশ যথেষ্ট সংযত ছিল। তবে যারা অশান্তি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে।’’
পুজোর আগে এই অভিযানে ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে বলেও অভিযোগ করে বলেছেন, ‘‘সামনে পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়। বিজেপির অভিযানে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পুজোর বাজার নষ্ট হয়েছে। এছাড়া বিজেপির আন্দোলনে সরকারী কাজেও বাধা পড়েছে।সরকারূ কাজে বাধা কোনো মতেই বরদাস্ত করব না।’’
প্রসঙ্গত, গতকাল পুলিশ হাওড়া, সাঁতরাগাছি, কলেজ স্ট্রিট ও লালবাজারে বিজেপির তিনটি মিছিল মাঝপথেই আটকে দিয়েছিলেন। নবান্নের ধারেকাছে কোনো মিছিল পৌঁছতে পারেনি। বিজেপি নেতৃত্ব এই ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অনাবশ্যক দমননীতি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। এমনকি অভিযোগ করেছিলেন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতার নির্দেশেই পুলিশ অকারণে বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করেছেন।