নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার ১ তৃণমূল নেতার মৃতদেহ

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা থেকে জলপাইগুড়ির অন্তর্গত ময়নাগুড়ির মাধবডাঙা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৩ নম্বর বুথের নিখোঁজ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ধনেশ রায়ের দেহ ময়নাগুড়ি রোড এলাকার নিগমানন্দ আশ্রম লাগোয়া ধরলা নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে। ধনেশবাবু পেশায় এক জন পাট ব্যবসায়ী ছিলেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সে বাড়ি থেকে স্কুটি নিয়ে এক জন পাট ব্যবসায়ীকে টাকা দিতে বের হয়েছিলেন। কিন্তু রাতেরবেলা ১২ টা বেজে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা ফোন করতেই জানতে পারেন ফোন বন্ধ আছে। তাই যোগাযোগ করা যায়নি। আর রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজ করতেও বের হতে পারেননি।


পরদিন বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে এক বাঁশ ঝাড়ের কাছে ধনেশের স্কুটি পাওয়া যায়। দলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের কাছেও খোঁজ নেওয়া হয়। সন্ধান না পাওয়ায় পুলিশের কাছে নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হলে গতকাল ধনেশবাবুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।


ময়নাতদন্তের পরে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের হাতে মৃতদেহ তুলে দিয়েছেন। মৃতের বড়ো ছেলে রঞ্জন রায় জানান, ‘‘গ্রামেরই বাসিন্দা পম্পা সরকারের সঙ্গে বাবার সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলা বাড়িতে মধুচক্র চালাতেন। ষড়যন্ত্র করেই বাবাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের কাছে ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগও জানানো হচ্ছে।’’


তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সহ সভাপতি সরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘‘মাঝেমধ্যে ধনেশ মদ্যপান করতেন। এলাকার এক মহিলার বাড়িতেও নিয়মিত যাতায়াত ছিল। ওই মহিলাও দলের এক জন সাধারণ কর্মী। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ খুন করা হতে পারে। পুলিশের কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবী জানানো হয়েছে।’’

জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেছেন, ‘‘মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছেন।’’ ইতিমধ্যে পুলিশ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পম্পা সরকার ও অজিত সরকারকে গ্রেফতার করেছেন। আজ ধৃতদের জলপাইগুড়ি জেলা দায়রা আদালতে হাজির করানো হবে।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930