নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ গোরু পাচারকাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) তদন্তে নেমে আজ সকালবেলা বীরভূমের বোলপুরে জামবুনি যাওয়ার রাস্তায় ভুবনডাঙা সুকান্তপল্লী এলাকায় প্রায় ১০ থেকে ১২ বিঘা জায়গার উপর নির্মিত ‘শিবশম্ভু রাইসমিলে’ অভিযান চালিয়েছে।
আর এই চালকলের অংশীদারিত্ব অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষের। সিবিআই এই চালকলের আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। স্থানীয়দের দাবী, ‘‘ওই চালকলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠদের আনাগোনা ছিল।’’ জানা যায়, ২০ বছরের জন্য বর্ধমানের অমিত অগ্রবাল নামে এক জন ব্যক্তি এই চালকল লিজে নিয়েছিলেন। পরে প্রচুর দেনার জেরে আত্মঘাতী হন।
অমিতবাবুর মৃত্যুর পর শিবচরণ দাস ও শিবানী ঘোষ নামে দু’জন লিজ নেন। যার মেয়াদ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে শেষ হবে। আর শিবানী ঘোষ সম্পর্কে অনুব্রত মণ্ডলের দিদি। আবার শিবানী দেবীর ছেলেই রাজা। বোলপুরে রাজার নামে আরো একটি চালকল আছে। মালিকপক্ষ জানায়, ‘‘দীর্ঘ ২০ বছর থেকে এই চালকল লিজেই চলছে। লিজ যে কেউ নিতে পারেন।’’
তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা যাচ্ছে, মহাদেবের নামাঙ্কিত ‘ভোলে বোম’ এবং ‘শিবশম্ভু’ চালকলের পাশাপাশি ‘শঙ্কর রাইসমিল’ তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। যদিও অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা জানান যে, অনুব্রত মণ্ডল ‘ভোলে বোম’ চালকলটি শ্বশুরের থেকে উপহার হিসাবে পেয়েছিলেন।