নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ নদীয়ার কৃষ্ণনগরের কাছে ধুবুলিয়ার বলাইনগর খাল থেকে উদ্ধার হওয়া সাত ফুট লম্বা একটি কুমিরকে গতকাল রাতেরবেলা ফারাক্কা বাঁধের কাছে গঙ্গায় ছাড়া হয়েছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা বনবিভাগের ভগবতপুর কুমির প্রকল্পের কর্মীদের সহায়তায় এই কাজটি করা হয়েছে।
বন দপ্তর সূত্রের জানা গিয়েছে, সম্প্রতি প্রথম কুমিরটিকে ধুবুলিয়ার বলাইনগর শিমুলতলার ছাড়িগঙ্গায় দেখা গিয়েছিল। প্রথমে এলাকাবাসীরা কুমিরটি দেখতে পেয়ে বন দপ্তরের কাছে খবর দেন। এরপর কুমিরটিকে সুন্দরবনের ভগবৎপুর কুমির প্রকল্পের কর্মীদের সহযোগীতায় উদ্ধার করা হয়েছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ভগবতপুরের রেঞ্জ অফিসার তন্ময় চট্টোপাধ্যায় জানান, “এটি প্রায় আট ফুট লম্বা একটি মিষ্টি জলের কুমির। পুরুষ কুমিরটির বয়স আনুমানিক ছয় থেকে সাত বছর। এই প্রজাতির কুমির সাধারণত মিষ্টি জলের নদী, খালে বা জলাশয়ে থাকে। মাছ, কচ্ছপ ও জলের ছোটো ছোটো প্রাণীরা এদের খাদ্য। প্রয়োজনে বড়ো প্রাণীকেও খেয়ে থাকে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বৃটিশ জমানার পরে দীর্ঘ দিন পশ্চিমবঙ্গে এদের দেখা পাওয়া যায়নি। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক বার গঙ্গায় কুমিরের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ফলতায় গঙ্গা থেকে একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছিল।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত বছর শীতের শুরুতেই মুর্শিদাবাদের আহিরণ থেকে শুরু করে নদীয়ার পলাশী অবধি গঙ্গার গতিপথে বেশ কিছু ঘাটের আশপাশে কুমির দেখা গিয়েছিল। ফলে বেশ কয়েকটি কুমির উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে ছাড়াও হয়েছিল। প্রাণীবিদ বলাইচন্দ্র দে বলেছেন, “বিহার ও ঝাড়খণ্ডে গঙ্গার মধ্য অববাহিকায় এই কুমিরের বসবাস রয়েছে।”