নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে গতকাল বর্ধমানের কালনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুধীর কুমার সঞ্জিত দেবনাথ নামে এক জন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ছ’মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৩ ই মার্চ নদীয়ার শান্তিপুর এলাকার বাগদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণপদ দেবনাথ পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানান, “কালনার উত্তর গোয়াড়া এলাকার সঞ্জিতের সঙ্গে তার মেয়ে মিঠু দেবনাথের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলতো।
কিন্তু ওই দিন জামাই মত্ত অবস্থায় বেলা ১১ টা নাগাদ মেয়েকে গালিগালাজ করে প্রথমে মারধর করে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর প্রথমে মিঠুকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে কয়েকদিন পর তার মৃত্যু হয়।
তবে মৃত্যুর আগে মিঠু দুই হাসপাতালেই পুলিশ এবং চিকিৎসকের কাছে জবানবন্দি দিয়ে যান। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই বধূ মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে একমাত্র স্বামীর নামই উল্লেখ করেন।
রায় ঘোষণা হওয়ার পরে সরকারী আইনজীবী মলয় পাঁজা জানান, ‘‘এই মামলায় ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মাঝেমধ্যেই বধূ নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এই রায় সমাজে বিশেষ বার্তা দেবে। অপরাধ করার আগে অপরাধীদের ভাবাবে।’’ যদিও সঞ্জিতের আইনজীবী পিনাকী রায় বলেন, ‘‘আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।’’