নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ গত বেশ কয়েকদিন থেকে উত্তরবঙ্গ জুড়ে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ভুটান পাহাড়েও কিছুটা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে নদীগুলিতেও জল বাড়ছে। ইতিমধ্যে তিস্তা নদী ও কোচবিহারে মানসাই এবং রায়ডাক নদীতে হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। তোর্সা নদীতে কোনো সঙ্কেত না থাকলেও জল কমেনি।
এছাড়া এরমধ্যে বেশ কিছু পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়ায় ত্রাণশিবির খুলে দেওয়া হয়েছে। আবার দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তোষপুর এলাকার গাদাধর নদী ও ধলপল গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়ডাক এবং গদাধর নদীর জলস্তর বৃদ্ধি হওয়ায় কিছু এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জেলা সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অসংরক্ষিত কিছু এলাকায় জল ঢুকে পড়লেও সংরক্ষিত এলাকায় এখনো কোনো সমস্যা নেই। কোথাও নদী বাঁধের ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জল নামার পরেই বোঝা যাবে। এখনো অবধি কোচবিহারে দু’হাজার মিলিমিটারের উপরে বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা এখনো পর্যন্ত রেকর্ড বৃষ্টি।
উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ মৌসম সেবা কেন্দ্র বৃষ্টিপাতের জন্য লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করেছে। তাছাড়া আগামী ২২ শে জুন অবধি কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিন তুফানগঞ্জ রায়ডাক নদীর জল বিপদসীমার উপর নিয়ে বইছে। তোর্সা, কালজানি, গদাধর, সংকোশ এবং রায়ডাক-২ নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
বলরামপুরে শোলধুকড়ি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। অপরদিকে তুফানগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের বড় লাউকুঠি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। কোচবিহারের মহকুমাশাসক রাকিবুর রহমান এই বিষয়ে জানান, ‘‘আমরা সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। তেমন পরিস্থিতি হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’